খাগড়াছড়ির রামগড়ের পূর্ব বাগানটিলা এলাকায় বয়োবৃদ্ধা মা আমেনা বেগম (৯৫) ও মেয়ে রাহেনা বেগম (৪২) কে গলাকেটে হত্যা হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনার এক সপ্তাহ পর আজ বৃহস্পতিবার এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয় পুলিশ। নিহত বৃদ্ধার বড় ছেলের শাহাবুদ্দিনের পুত্র সাইফুল ইসলাম (৩৫) দাদী ও ফুফুর কাছে টাকা ছেয়ে না দেয়ায় এবং গালমন্দ করার ক্ষোভ থেকে গভীর রাতে বাঁশ কাটার দা দিয়ে নির্মম এ হত্যাকান্ডের ঘটিয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিং এ তথ্য জানান। পুলিশ সুপার জানান,আসামীকে ফেনীর ছাগলনাইয়া থেকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সময় আসামী সাইফুল ভিকটিম ফুফু রাহেনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায় এবং ফটিকছড়ির দাতামারা বাজারে নুরুল আলমের নিকট ৪শ টাকা বিক্রি করে দিয়েছিলো। পুলিশ আলমত হিসেবে তা উদ্ধার ও জব্দ করেছে।
পুলিশ জানায়, আসামী সাইফুল হেয়াকোর সিকদারখিল এলাকায় মান্নান শিকদারের ছেলে মনার বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করতো। ঘটনার দিন সে দাদীর বাড়ীতে বেড়াতে আসে, সম্পত্তির ভাগ ও টাকা দাবী করা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। ভিকটিমরা টাকা দিতে অস্বীকার করে এবং গালমন্দ করলে সাইফুল না খেয়ে দাদীর ঘরে শুয়ে থাকে। রাত গভীর হলে বাঁশ কাটার দা দিয়ে সজোরে প্রথমে ফুফুকে পরে দাদীকে কোপ দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীকে চিহ্নিত করা হয় এবং আটক করতে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও ফেনীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়।
এরআগে গত ২১ আগষ্ট বুধবার রাতের মর্মান্তিক এ জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ঘটনা জানাজানি । ক্লুলেস এ হত্যার রহস্য উদঘাটনে ক্রাইম সিন সংগ্রহ করার জন্য সিআইডিকে খবর দেয়া হয়। রামগড় থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। নিহত রাহেনার ছেলে হাসান গত শুক্রুবার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে রামগড় থানায় হত্যা মামলা রুজু করে। পুলিশের পাশাপাশি পিবিআইও মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। আটক সাইফুলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন রামগড় থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন।