পার্বত্য জেলা বিলাইছড়ি উপজেলার ধুপ্যাচর ত্রিরত্ন বৌদ্ধ বিহারে হাজারো পূণ্যার্থীর অংশগ্রহণে সু- সুম্পন্ন হলো ৩৭ তম দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব এবং আষাম মালা তঞ্চঙ্গ্যা’র সংঘদান। শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে ধুপ্যাচর ত্রিরত্ন বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির আয়োজনে বিহার প্রাঙ্গণে- বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন এবং বুদ্ধ পূজা গাথা, পঞ্চশীল পাঠ, বুদ্ধ মূর্তি দান, হাজার বাতি দান, সংঘদান, অষ্টপরিস্কার দান, পিন্ডদান দানসহ নানাবিধ দান আয়োজন করা হয়।
দ্বিতীয় পর্বে বিকালে অনুষ্ঠানে জগতে সকল প্রাণী সুখ, বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনা মঙ্গলাচরণ পাঠ,পঞ্চশীল গ্রহন, কঠিন চীবর ও কল্পতরু দান সম্পাদন করা হয়। সভায় আর্য্যলঙ্কার মহাথের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান। অন্যান্যদের মধ্যে বিপুল জ্যোতি থের, অগ্রবংশ ভিক্ষু, নন্দশ্রী থের, শাক্যপ্রিয় ভিক্ষু, ইন্দ্রজিত ভিক্ষু,মহাকাল ভিক্ষু ,পারমী পুর্ণ ভিক্ষু, সুমেধা নন্দ ভিক্ষু, তেজবর্ণ ভিক্ষু, ধর্মসেন ভিক্ষু, সায়মিত্র ভিক্ষু, ধর্মজ্যোতি ভিক্ষু, ধর্মকীর্তি ভিক্ষুসহ অন্যান্য ভিক্ষুসংঘ সংঘ ও উপাসক- উপাসিকা এবং দায়ক- দায়িকা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অমৃত সেন তঞ্চঙ্গ্যা, হেডম্যান রমাকান্ত আমু, খ্রীস্টান চার্চের ধর্মীয় গুরু রবার্ট বম, ওয়ার্ড মেম্বার জ্যোতিময় চাকমা, বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুমন্ত চাকমা, সাধারণ সম্পাদক রুপম চাকমা, হেডম্যান বিমলী চাকমা, মহিলা মেম্বার রিতা চাকমা, জগৎ জ্যোতি কার্বারী, সাথোয়াই মার্মা, প্রহর কান্তি চাকমা, দীলিপ তঞ্চঙ্গ্যা, টুম্পা চাকমা,পুলু মার্মা, সুপর্না তঞ্চঙ্গ্যা, লুনা চাকমা, ভুষন চাকমা, খোকন মার্মা, যতন চন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যাসহ হাজারো পুর্ণ্যার্থী উপস্থিত ছিলেন।সন্ধ্যায় প্রদীপ ও ফানুস উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘটে।
উল্লেখ্য, গৌতম বুদ্ধের জীবদ্দশায় মহা উপাসিকা বিশাখা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা এবং সুতা রঙ করে কাপড় বুনে তা সেলাই করে চীবর (ভিক্ষুদের পরিধেয় বস্ত্র) দান করে এই কঠিন চীবর দানের সূচনা করেন প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে। এই পদ্ধতিতে দান করলে কায়িক, বাচনিক মানসিকভাবে অধিক পরিশ্রম হয় এবং অধিকতর পূণ্যলাভ হয় বলে বৌদ্ধ শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে।