দেশের সর্ববৃহৎ সিংহ শয্যা বুদ্ধমূর্তির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মানের এক বৌদ্ধ ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাঙামাটির জুরাছড়ির সুবলং শাখা বন বিহারে। আগামী ১৬,১৭,১৮ নভেম্বর তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠান চলবে। এতে অংশ নিবেন দেশ বিদেশের বুদ্ধ পন্ডিতরা।
৩ দিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠানে লাখো মানুষের উপস্থিতি আশা করছেন আয়োজকরা। ইতিমধ্যে প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে
তিন দিনের এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী এছাড়াও ভারত, থাইল্যান্ড থেকে আগত অতিথিরা।
জুরাছড়ির সুবলং শাখা বন বিহার প্রাঙ্গণে সম্প্রতি নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১২৬ ফুট বিশিষ্ট সিংহশয্যা মূর্তিটির। এ মুর্তিটি এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বড় সিংহশয্যা বুদ্ধমূর্তি।
শ্রাবক বুদ্ধ পরিণির্বাণ প্রাপ্ত সাধনানন্দ মহাস্থবির (বনভান্তে) স্মরণে জুরাছড়ি সুবলং শাখা বনবিহারে এ বুদ্ধমূর্তিটি নির্মিত করা হয়। বুদ্ধমূর্তির দৈর্ঘ্য ১২৬ ফুট প্রস্থ ৪০ ফুট, উচ্চতা ৬০ করে নির্মাণ করা হয়।
জুরাছড়ি সুবলং শাখা বন বিহারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য প্রবর্তক চাকমা বলেন, তিন দিনের অনুষ্ঠানে লাখো মানুষের সমাগম ঘটবে এটা আমরা আশা করছি। থাইল্যান্ডের ধম্মকায়া ফাউন্ডেশন গণ শ্রামনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফাউন্ডেশন ৫০০ জনকে শ্রামন করে দেবে।এ আয়োজনের সব খরচ তারা বহন করবে।
তিনি বলেন, এ বুদ্ধ মূর্তিটি নির্মাণে ৮ কোটির অধিক টাকা ব্যয় হয়েছে। বুদ্ধ ভিক্ষুদের দান এবং সাধারণ মানুষের অর্থ দানে এটি নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এ মূর্তি নির্মাণে স্বেচ্ছা শ্রম দিয়েছেন। ২০১৪ সালে বুদ্ধ মূর্তিটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
বুদ্ধ মূর্তিটির শূভ উদ্ধোধন করবেন বনভান্তের শিষ্য প্রধান ও রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান ভদন্ত প্রজ্ঞা লংকার মহাস্থবির, বনভান্তের শিষ্য সংঘের উপ- প্রধান ও ফুরমোন আন্তর্জাতিক সাধনাতীর্থ বন ধ্যান কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ভদন্ত ভৃগু মহাস্থবির, বনভান্তের শিষ্য সংঘের সুপ্রিম কাউন্সি ও জুরাছড়ি সুবলং শাখা বনবিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত বুদ্ধশ্রী মহাস্থবির।
এ অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের বুদ্ধ পন্ডিতরা ছাড়াও থাইল্যান্ড, ভিযেতনাম থেকে বুদ্ধ ভিক্ষু উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
বুদ্ধ মূর্তি নির্মাণের জন্য প্রয়াত ভূবন জয় (যক্ষা মহাজন) এর নাতিনরা সুবলং শাখা বন বিহার কর্তৃপক্ষকে ৮ একর জমি দান করেন।