খাগড়াছড়িতে ৩’শ ২৬ জন নারী উদ্যোক্তা এবং নারী শিক্ষার্থীকে ৪৮ লক্ষ টাকার প্রণোদনা দিয়েছে জেলা পরিষদ।
মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু সভাপতিত্ব করেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু বলেন, সরকার পাহাড়ের পিছিয়েপড়া নারীদের মেধা-সৃজনশীলতা এবং দক্ষতাকে কাজে লাগাতে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে। ইউএনডিপিসহ বিদেশী দাতা সংস্থার কাছে এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে তুলে ধরতে ঢাকায় প্রতিবছর মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পার্বত্য মেলার আয়োজন করছে। এতে এখানকার পোশকা-খাবার-হস্তশিল্প এবং সংস্কৃতি সমতল এবং বিদেশীদের নজর কাড়ছে।
তিনি অনুদান প্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তা এবং নারী শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে যে কোন সহযোগিতা অব্যাহত রাখারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়–য়া, জেলা পরিষদ সদস্য শতরুপা চাকমা, ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ’র জেলা ব্যবস্থাপক প্রিয়তর চাকমা, নারী উদ্যোক্তা নিপু ত্রিপুরা ও নারী শিক্ষার্থী তানহা ফারদিন বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পাহাড়ের পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে নিতে কাজ করছে সরকার। পার্বত্য জেলা পরিষদও সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। জোর দেয়া হচ্ছে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে। শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে পাহাড়ের নারীদের অংশগ্রণ ও যোগ্য করে তুলতে সব রকমের সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু।
পরে এ, বি, সি ক্যাটাগরিতে চাকমা, মারমা ত্রিপুরা ও বাঙালি সম্প্রদায়ের ১২০ জন ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের ৩০ (ত্রিশ) লক্ষ টাকা এবং ১০৬ জন ছাত্রীদের হাতে ১৮ (আঠারো) লাখ টাকার নগদ অর্থ তুলে দেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ অন্যরা।
আয়োজকরা জানান, শিক্ষা ও দক্ষতার মাধ্যমে নারী ও কন্যা শিশুর ক্ষমতায়ন প্রকল্পের আওতায় খাগড়াছড়িতে নানামুখী প্রকল্প চলমান রয়েছে। সেসব প্রকল্পের অধীনে সম্প্রদায় ভিত্তিক এসব অর্থ সহায়তা বিতরণ করা হচ্ছে।