রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় ৪র্থ অর্থনৈতিক শুমারি শুরু হয়েছে। এ শুমারির মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের অকৃষি খাত বিশেষ করে শিল্প ও সেবা খাতকে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়নমুখী করার লক্ষ্যে মানসম্মত পরিসংখ্যান প্রণয়ন করা এবং সময়ের বিবর্তনে একটি দেশের অর্থনীতিতে যে কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটে তা সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রট মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
পরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমীন ও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভুঁইয়া, জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ- পরিচালক মোহাম্মদ নুর উজ জমান বক্তব্য রাখেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় গত ১৫ মে থেকে ০১ জুন পর্যন্ত উক্ত শুমারির ম্যাপিং কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাঙামাটি জেলার ১০টি উপজেলাকে ৩২টি জোনে ভাগ করে ম্যাপিং অপারেশন সম্পন্ন করা হয়। যেখানে ৬১১৬ বর্গকিলোমিটারের রাঙামাটি পার্বত্য জেলাকে ৭৪৭ টি অংশে বিভাজন করা হয়। পরবর্তীতে ০৭ জুলাই থেকে ২৫ আগস্ট লিস্টিং অপারেশন সম্পন্ন হয়। অর্থনৈতিক শুমারির আওতায় এই সময়কালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় উক্ত লিস্টিং অপারেশনে খানার অভ্যন্তরে ২৪,৯৪০ টি অর্থনৈতিক ইউনিট পাওয়া যায়।
দ্বিতীয়ত রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় অবস্থিত সব ধরণের দোকান-পাট, ব্যাংক বীমা, অফিস-আদালত, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মন্দির, কেয়াং, গীর্জা তথা সকল স্থায়ী, অস্থায়ী ও স্বায়ত্বশাসিত স্থাপনার প্রাথমিক লিস্টিং করা হয়েছে। লিস্টিং অপারেশনে অত্র রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় ২৭,৪৩৭ টি স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হয়েছে।
অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ এর ম্যাপিং অপারেশন ও লিস্টিং অপারেশন শেষে বর্তমানে ১০-২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ এর মূল তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উক্ত কার্যক্রমে ০২ জন জেলা শুমারি সমন্বয়কারী, ০২ জন উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী, ০৮ জন উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী কাম জোনাল অফিসার, ৬৫০ জন তথ্যসংগ্রহকারী, ১৩৪ জন সুপারভাইজার কাজ করছেন।
মূল তথ্যসংগ্রহ কার্যক্রমে খানার অভ্যন্তরে পরিচালিত অর্থনৈতিক কর্মকান্ড, দ্বিতীয়ত খানার অভ্যন্তরীণ কৃষির বাইরের প্রাতিষ্ঠানিক কৃষি খামার (গরুর খামার, ছাগলের খামার, ভেড়ার খামার, মুরগীর খামার, শকুরের খামার, হাসের খামার, প্রাতিষ্ঠানিক ফলজ বা বনজ বাগান) এবং তৃতীয়ত সকল স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। পাশাপাশি জুলাই- ডিসেম্বর সময়কালে আরো যেসব অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সম্পন্ন খানা, প্রাতিষ্ঠানিক খামার এবং স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রতিষ্ঠান জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে ও অবদান রাখছে তাদেরকেও মূল তথ্যসংগ্রহ কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
রাঙামাটি জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ নুর উজ জমান বলেন-ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলায় অবহিতকরণ সভা সম্পন্ন হয়েছে ও প্রচার কার্যক্রম অব্যাহত আছে।