দেশের চলমান পরিস্থিতিতে মাঠ দখলে বিএনপি, আ’লীগ ঘরে! ১৫ আগষ্ট ঘিরে বিএনপিসহ অংশ সংগঠনের সভা সমাবেশ অনুষ্ঠিত। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিএনপি অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরের সিও অফিস ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পাহাড়া বসিয়েছে। যেন ১৫ আগষ্টে আওয়ামী লীগ ওই সব স্থানে ফুল দিতে না পারে। আওয়ামী লীগ যেন ফুল দিতে না পারে সে জন্য সব জায়গায় অবস্থান নিয়েছে বিএনপি নেতামর্মীরা। তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ কোন নেতাকর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি।
সূত্রেজানা গেছে, বিএনপি জেলা সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুনের নেতৃত্বে সকাল থেকে বিএনপি অংগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহরের তবলছড়ি, রিজার্ভ বাজার, পৌরসভা চত্বর, বনরুপা বিএম শপিং মল, কাঠালতলী বিএনপি কার্যালয়, কলেজগেইট ও মানিকছড়ি এলাকায় সভা সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে ১৬ বছর পরে মোটরসাইকেল নিয়ে জেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল আলীমের নেতৃত্বে শহরের মধ্যে শো-ডাউন দিতে দেখা গেছে। জামায়াতি ইসলামী ও সম্প্রতি চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল হতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাঙামাটি জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এড. সাইফুল ইসলাম পনিরের নেতৃত্বে রাঙাগমাটি শহরস্থ বনরুপা আলিফ মার্কেটের সামনে, জাতীয়তাবাদী মৎসজীবী দলের জেলা শাখার সভাপতি নূরুল কবিরের (বাচা) নেতৃত্বে দোয়েল চত্বর, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাকিলের নেতৃত্বে তবলছড়ি, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মমতাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে নিউ মার্কেট, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে ভেদভেদি এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে বিএনপির জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুনকে তার মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তাকে পাওয়া যায়নি। একই ভাবে জানতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মুছা মাতব্বরকে ফোন করা হলে তাকেও পাওয়া যায়নি।
এদিকে রাঙামাটি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মোঃ আবু আহাদ বলেন, পাড়া মহল্লায় পাহাড়া বসিয়ে তল্লাশী করতে হবে। যেন আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজরা পালিয়ে যেতে না পারে। ছাত্র আন্দোলন নেতারা বলেন, আগামী ২৪ঘন্টার মধ্যে রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীর পদত্যাগ করার জন্য আল্টিমেটাম দেন।