সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারর্দীয়া দূর্গা পূজা উৎসব মুখর পরিবেশে রাজস্থলী উপজেলায় তিনটি পূজা মান্ডপে দূর্গা উৎসব প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। তবে পূজার বৃহত্তর আয়োজনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছি (থিম প্রদর্শনের) শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির পূজা উদযাপন পরিষদ। পূজার উৎসবকে পরিপূর্ণ রুপ দিতে মন্দিরগুলোতে ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে পূজা উদযাপন পরিষদ।
গত ৫-৬দিন ব্যাপি ধর্মীয় উৎসব উপভোগ করতে মন্দির গুলো সকল সম্প্রদায়ের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। প্রতিবছরের ন্যায় এবার উপজেলার রাজস্থলী বাজার শ্রী শ্রী হরি মন্দির, বাঙ্গালহালিয়া শ্রী শ্রী দক্ষিণশ্বর কালী মন্দির ও ছাগল খাইয়া শ্রী শ্রী কৃষ্ণ মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অজয় দে (বাঙ্গালহালিয়া), পাবেল কান্তি দে (ছাগল খাইয়া) ও ধনরাম কর্মকার ( রাজস্থলী) বলেন গত বছরের তুলনায় এই বছর উপজেলা প্রশাসনের দিক নির্দেশনায় পূজা মান্ডপ গুলো ব্যাপক ভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ছিলেন। এবং প্রতিটি পূজা মান্ডপ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে এক মেট্রিকটন করে চাউল, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ৫০০কেজি করে চাউল ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাপ্তাই জোন কমান্ডারের দেওয়া প্রতিটি পূজা মান্ডপে ৫ হাজার করে নগদ অর্থ পেয়েছেন বলে জানান।
রাজস্থলী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শম্ভুনাথ বণিক বলেন প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও রাজস্থলীতে তিনটি মান্ডপে উৎসব মুখর পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে সার্বিক সহযোগিতা করায় উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, রাজস্থলী ও চন্দ্রঘোনা থানার পুলিশ বাহিনী, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী আনসার ভিডিপি সদস্যদের প্রত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাজস্থলী থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাকির হোসেন বলেন, তিনটি পূজা মান্ডপে মধ্যে একটি রাজস্থলী থানার অধীনে বাকি দুইটি চন্দ্রঘোনা থানার মধ্যে। তবে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় পূজা মান্ডপে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা সর্বদা সচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে জানান। চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত দুই টি পূজা মান্ডপ চন্দ্রঘোনা থানার অধীনে। পূজা মান্ডব গুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ বাহিনী নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
উপজেলা নির্বহী অফিসার শান্তনু কুমার দাস বলেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারর্দীয়া দূর্গা পূজা। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্দির গুলোতে নিরাপত্তাসহ শান্তি পূর্ন ভাবে উৎসব সম্পর্ন করার লক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। প্রতিটি মন্দিরে পুলিশের পাশাপাশি আনসার ভি,ডি,পি, গ্রাম পুলিশ মোতায়নের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। পূজা মান্ডপে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রতিটি পূজা মান্ডপের জন্য ৫ শত কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো পূজা মান্ডপ পরিচালনা কমিটির নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান । এবং তিনটি পূজা মান্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পূজা চলাকালীন সময়ে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক তদারকি ছিলো বলে জানান।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা বলেন বর্তমান সরকারের আমলে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ উৎসব মুখর পরিবেশে সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান গুলো পালন করতে পারছে। সারাদেশে ন্যায় রাজস্থলী উপজেলায় তিনটি পূজা মান্ডপে শান্তি পূর্ণ ভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বিসর্জনের প্রতিমা গুলো রাজস্থলী ও বাঙ্গালহালিয়া বাজার প্রদীক্ষণ করে রাজস্থলী বাজার পুকুরে, বাঙ্গালহালিয়া বাজার পুকুরে এবং চন্দ্রঘোনা কর্ণফুলীতে বিসর্জন দিয়েছেন।