রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছেন জেলা প্রশাসন। ৩য় দফায় সাজেকে পর্যটক ভ্রমণের উপর নিরুৎসাহিত করার পর এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য পর্যটন ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাইফুল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ জারি করা হয়।
গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা ও রাঙামাটির সহিংসতা ঘটনায় বিক্ষুব্দ ছাত্র-জনতার ডাকা তিন পার্বত্য জেলায় ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘন্টার অবরোধের কারণে সাজেক ভ্যালিতে প্রায় ১৫০০ পর্যটক আটকা পড়ে। এর পর ২৩ সেপ্টেম্বর হতে ২৭ সেপ্টম্বর তিন দিন পর্যটন ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। দ্বিতীয় দফায় সময় বাড়িয়ে ২৮-৩০ সেপ্টেম্বর ৩ দিন এবং ৩য় দফায় ১অক্টোবর হতে ৩ অক্টোবর ৩ দিন সাজেকে পর্যটক যেতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিলো। এবার ৪ অক্টোবর হতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সাজেকে পর্যটক যেতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেল চোর সন্দেহে যে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা ও রাঙামাটিতে পাহাড়ি বাাঙালি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আবার ১ অক্টোবর খাগড়াছড়ির টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা নামের এক শিক্ষককে ধর্ষণের অভিযোগে পিটিয়ে হত্যার পর আবারও খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। এতে পর্যটনসহ পার্বত্য জেলার সার্বিক পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে।