রাঙামাটির লংগদু উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নে রাজ নগর এলাকার এক পরিবারের রেকর্ডীয় জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় থানায় ও রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ এ মামলার আসামীরা মামলা তুলে নিতে মোবাইলে হুমকি দিচ্ছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, রাজ নগরের বাসিন্দা মৃত বছির উদ্দিনের ২ একর রেকর্ডীয় জায়গায় কিছুদিন আগে ইরাজ আলী, অজিত আলী, আব্দুল মজিদ, হাফিজ উদ্দিন, জয়নাল উদ্দিন, গোলাম মাওলা ৬ জন অবৈধভাবে দখল করে কেউ বাড়িঘর নির্মাণ করে। এ ঘটনায় বাধা দেওয়া হলে উল্টো হুমকি দেওয়া হচ্ছে আদালতে বলেন জমির মালিক বছির উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুল রহিম।
আব্দুল রহিম বলেন, আমি বাঘাইছড়ি লাল্যাঘোনায় পরিবারসহ বসবাস করি। এ সুযোগে আসামীরা আমার পিতৃ জমি দখল করেছে। এখন এ জমি আমার বাবা ও আমি জমি বিক্রি করেছি মর্মে ভূয়া দলিল দেখাচ্ছে। আমি এবং আমার বাবা কোনদিন আসামীদের নিকট জমি বিক্রি করিনি।
রহিম বলেন, আমার পিতৃ জমি কেড়ে নিতে স্থানীয় দুই ইউপি মেম্বার মো শেখ চান ও গোলাম মাওলা আসামীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। এরা প্রশ্রয় দিচ্ছে বলে আসামীরা জমি বেদখলের সাহস দেখাচ্ছে। ১৪৪ ধারা জারির পরও তারা স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে।
এ বিষয়ে শেখ চান ও গোলাম মাওলা বলেন, বাংলা কাগজের মাধ্যেম আব্দুল রহিম জমি বিক্রি করেছে। এখন তা অস্বীকার করছে। আমরা কারোর পক্ষে কথা বলছি না। জনপ্র্রতিনিধি হয়ে বিষয়টি সুন্দরভাবে সমাধান করার চেষ্টা করছি।
আদালতে মামলার পর বিরোধযুক্ত জায়গায় কাজ না করতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে আদালত। এ মামলার তদন্ত করছে লংগদু থানার পুলিশ উপ পরিদর্শক মো. আরকানুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর আমি সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এসেছি। আমি তদন্ত করে যেটি পেয়েছি মামলার আসামীরা জমি ক্রয়ের বাংলা দলিল দেখাচ্ছে। আসলে জমিটি হাত বদল হয়েছে কিনা আমি নিশ্চিত করতে পারব না। তবে এ বিষয়টি আমি আদালতকে জানাব।