রবিবার , ৯ অক্টোবর ২০২২ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

প্রবারণা পূর্ণিমা ও এর তাৎপর্য – অশোক কুমার চাকমা

প্রতিবেদক
পাহাড়ের খবর ডেস্ক।
অক্টোবর ৯, ২০২২ ১০:৪৫ অপরাহ্ণ

৯ অক্টোবর, বৌদ্ধদের শুভ প্রবারণা। এ বছর এই দিনটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। আজকে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ঈদে মিলাদুন্নবী ও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা লক্ষীপূজা হিসেবে পালন করছেন। এই শুভ দিনে সবাইকে মৈত্রীময় শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

বৌদ্ধদের প্রবারণা কী?
পালি শব্দ ‘পবারনা’, বাংলায়নে ‘প্রবারণা’। এই পবারণার আক্ষরিক অর্থ হলো ‘আহবান’ (Invitation). বর্তমান সময়ে প্রবারণা বৌদ্ধদের একটি উৎসবে পরিণত হয়েছে।

সাধারণত ভিক্ষুসংঘের তিন মাস বর্ষাব্রত শেষে ‘পবারণা’/প্রবারণা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এখন এটা বর্ষাব্রত সমাপনী অনুষ্ঠানের মত। বর্ষাবাস শেষে পবারণা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বলতে গেলে, বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাসে পবারণার মাধ্যমে প্রথম আনুষ্ঠানিক কোন অনুষ্ঠানের সূচনা ঘটে। পবারণার পরেই মাসব্যাপী কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, বর্ষাবাস ও প্রবারণার আগে আনুষ্ঠানিক কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছিলো না। বলতে গেলে, বর্ষাবাস ও বর্ষাবাস পরবর্তী প্রবারণা ও কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা বা অনুষ্ঠানের প্রথা সৃষ্টি হয়।

সবার জানা, বুদ্ধের সংঘ প্রতিষ্ঠার ২০ বছরের মধ্যে কোন ভিক্ষু বিনয় বা আচরণবিধি তৈরী হয়নি। নির্দিষ্ট কোন বিহার বা আবাসস্থল ছিলো না। ভিক্ষুরা সাধারণত বৃক্ষতলায় থাকতেন। ভিক্ষুরা দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়তেন বুদ্ধের শিক্ষা প্রচারের জন্য। তখন তাদেরকে বলা হতো ‘চতুর্দিশা ভিক্ষু’।

এদিকে দিন দিন বুদ্ধের শিষ্যের সংখ্যা বাড়তে লাগলো। কেউ কেউ প্রতিপত্তি লাভের জন্য, কেউ কেউ সত্যি সত্যি জগত সংসার থেকে দুঃখমুক্তি লাভের জন্য ভিক্ষু হয়েছিলেন। সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে এসে প্রব্রজ্জা গ্রহণ করতে লাগলেন। সংঘভুক্ত হলে সবাই সমান হলেও বাস্তবে বিভিন্ন মত ও মতভেদ দেখা দেয়। কখনো কখনো ঝগড়া বিতর্ক হতে থাকে। বিনয় কেন্দ্রিক মতভেদের কারণে ভিক্ষুরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়েন। আমরা মধুপূর্ণিমার ইতিহাস থেকে জানতে পারি, দুই দল ভিক্ষুর কলহের কারণে বুদ্ধকে পারুলিয়া বনে বর্ষাবাস শুরু করতে হয়েছিলো।

ভিক্ষুসংঘের সেই কলহের ইতিহাসের সাথে প্রবারণারও সংযোগ আছে। বর্ষাব্রত শেষে ভিক্ষুসংঘের মধ্যে একতা, সুসম্পর্ক ও ভ্রাতৃত্ববোধ সুদৃঢ় করে তোলার লক্ষ্যে বুদ্ধ বিভিন্ন প্রায়োগিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। প্রবারণা সেগুলোর মধ্যে একটি অভিনব শিক্ষণ পদ্ধতি। প্রবারণা মূলত: সমালোচনা ও আত্মসমালোচনার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি গড়ে তোলা। সংঘের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সংহতি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ গড়ে তোলা।

গৌতম বুদ্ধ বর্ষাবাস শেষে শ্রাবস্তীতে মিগার মাতা বিশাখা কর্তৃক নির্মিত বিহারে প্রবারণা চালু করেন। এই প্রবারণা চালু করতে গিয়ে তিনি প্রথমে নিজেকে দিয়ে শুরু করেছিলেন। তিনি সমবেত ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে আহবান (পবারণা) করে বলেছিলেন, ভিক্ষুদের মধ্যে কেউ কী তাঁর কোন কায়িক, বাচনিক বা অন্য কোন ধরনের দোষ ত্রুটি দেখেছিলেন। দোষত্রুটি চোখে পড়লে নির্ভয়ে তাকে তিরস্কার বা সমালোচনা করতে অনুরোধ করেছিলেন।

সেই দিনের ভিক্ষু সমাবেশে কেউই বুদ্ধের কিংবা অন্য কারোর কোন দোষ ত্রুটি দেখতে পাননি। কেননা, সেই সমাবেশে সব ভিক্ষু ছিলেন অরহত। অরহতরা সব সময় বিশুদ্ধ হয়ে থাকেন। তাঁরা দোষ ত্রুটিমুক্ত।

কিন্তু এই একটি চর্চার মাধ্যমে বৌদ্ধ ইতিহাসে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে গেছে। সংঘের মধ্যে থাকলে কারোর না কারোর ভুল ভ্রান্তি হতে পারে। সেই ভুল ভ্রান্তিগুলো পরস্পরের সামনে তুলে ধরা এবং সেই ভুল ভ্রান্তিগুলো সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং পরস্পরকে ক্ষমা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার একটা প্রথা সংঘের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় এই প্রবারণার মাধ্যমে। এই কারণে, ভিক্ষু সংঘ আজ পর্যন্ত সবচেয়ে প্রাচীন গণতান্ত্রিক সংস্থা – এখানে কোন ব্যক্তির প্রাধান্য স্বীকার করা হয় না। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সমষ্টিগতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে।

পরস্পরের দোষ ত্রুটি তুলে ধরার সৎ সাহস সমাজের মধ্যে থাকলে এবং সেই দোষত্রুটিগুলো সংশোধনের অব্যাহত প্রচেষ্টা থাকলে সমাজ এগিয়ে যেতে বাধ্য। আমরা সব সময় অন্যের দিকে আঙুল তাক করি – অমুকের কারণে এই সমস্যা তৈরী হয়েছে, অমুক এই কাজটা করেনি বলে আমাদের এই দুঃখ দুর্দশা তৈরী হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু প্রবারণা সেই শিক্ষা দেয় না। প্রবারণা প্রথমে নিজের দোষ ত্রুটিগুলো খুঁজে বের করতে অন্যকে উদাত্ত আহবান জানায়। নিজের ভুল স্বীকার করে পরস্পরকে ক্ষমা করে সবাইকে এক সাথে এগিয়ে যাওয়ার শিক্ষা দেয়। বুদ্ধ সব সময় সংঘ বা একতাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। ”সমগ্গনং তপো সুখো” – একতাই সবচেয়ে বড় সুখ। প্রবারণা আমাদের জন্য এই একতার সুখের বার্তা দিয়ে যায়। আমরা বৌদ্ধ হিসেবে সেই বার্তা ধারন করতে পেরেছি কী?

সব্বে সত্তা সুখিতা ভবন্তু।
জগতে সকল সত্তা সুখী হোক।

পবারনা সূত্তের আলোক ‘প্রবারণা

ভগবান বুদ্ধ সেদিন মিগার মাতার নির্মিত বিহারে (পূর্বারাম হিসেবে পরিচিত) ভিক্ষুদের সাথে বসেছিলেন। সেখানে ৫০০ ভিক্ষু ছিলেন। তাঁরা সবাই অরহত ছিলেন। তিন মাস বর্ষাব্রত শেষে তিনি ভিক্ষুদের সাথে বসেছিলেন।

(১) গৌতম বুদ্ধ সমবেত ৫০০ ভিক্ষুর সামনে প্রথম আহবান (পবারেতি) করেন – তাঁরা তিন মাস বর্ষাব্রত কালীন তাঁর কোন কাজে, বাক্যে বা অন্য কোনভাবে কোন দোষত্রুটি চোখে পড়েছে কি না? গৌতম বুদ্ধ উদাত্ত কণ্ঠে আহবান করেছিলেন – তাঁর কায়িক-বাচনিক কোন দোষত্রুটি থাকলে যে কেউ সমালোচনা করতে পারবেন।

(২) গৌতম বুদ্ধের এই আহবানের প্রেক্ষিতে সমবেত ভিক্ষুসংঘের মধ্যে সবচেয়ে বয়জ্যেষ্ঠ ভিক্ষু সারিপুত্র উঠে দাঁড়িয়ে হাতজোড় করে ভগবান বুদ্ধকে বললেন, “ভান্তে, আপনার মধ্যে এমন কোন কায়িক ও বাচনিক কর্ম চোখে পড়েনি যা আমরা সমালোচনা করতে পারি।” সারিপুত্র বুদ্ধকে বললেন, “আপনিই তো পথ দ্রষ্টা, আপনিই পথ দেখান, আপনিই পথ জানেন, এবং আপনিই তো পথ সম্পর্কে অভিজ্ঞ।আপনাকেই অনুসরণ করে আমরা পথ খুঁজে পেয়েছি।”

(৩) এরপর সারিপুত্র বুদ্ধকে আহবান করে বললেন, “ভান্তে, আপনিও কী আমার মধ্যে কোন কায়িক-বাচনিক কোন ত্রুটি দেখতে পেয়েছেন? যদি সেরকম কোন দোষত্রুটি দেখে থাকেন, তাহলে আমাকেও সমালোচনা করতে পারেন।

তখন বুদ্ধ সারিপুত্রকে খুবই উচ্চসিত প্রশংসা করে বললেন, “হে সারিপুত্র, তুমি মহা প্রজ্ঞাবান [১]; তোমার মধ্যে এমন কোন কায়িক-বাচনিক ত্রুটি চোখে পড়েনি, যা তোমাকে তিরস্কার করতে পারি। তুমি চক্রবর্তী রাজার সিংহাসনের উত্তরাধিকারী রাজপুত্রের ন্যায় ধর্মের চাকাকে সচল রেখেছো [২]।

(৪) বুদ্ধের নিকট হতে নিজের সম্পর্কে জবাব পাওয়ার পর সারিপুত্র সমবেত সংঘের কোন সদস্যের বিরুদ্ধেও কোন কায়িক-বাচনিক দোষত্রুটি চোখে পড়েছে কি না তা জানতে চাইলেন। বুদ্ধকে অনুরোধ করলেন, সংঘের কোন সদস্যের দোষত্রুটি চোখে পড়লে তাঁকে যেন তিরস্কার করা হয়।

গৌতম বুদ্ধ উদাত্ত কন্ঠে ঘোষণা করলেন, “সারিপুত্র, সমবেত সংঘ বিশুদ্ধ। তিরস্কার করার মত তাদের মধ্যে কোন দোষ ত্রুটি চোখে পড়েনি। কারণ উপস্থিত ৫০০ জন ভিক্ষুর মধ্যে ৬০ জন তেবিজ্জা অরহত, ৬০ জন ষলবিঞঞা (ষড়বিজ্ঞা) অরহত, ৬০ জন উভয়বিধ বিমুক্ত অরহত এবং অবশিষ্ট সবাই প্রজ্ঞা বিমুক্ত অরহত [৩]।

পবারণায় সমবেত সব ভিক্ষু অরহত ছিলেন বলে সবাই বিশুদ্ধ বা ত্রুটিমুক্ত। সে কারণে কারোর মধ্যে বুদ্ধ ত্রুটি দেখতে পাননি।

(৫) বুদ্ধ কর্তৃক সমবেতন সংঘকে বিশুদ্ধ ঘোষণা দেওয়ার পর বয়জ্যেষ্ঠ ভিক্ষু ভঙ্গিস, যিনি কবি হিসেবেও প্রসংশিত ছিলেন, উঠে দাঁড়িয়ে বুদ্ধকে প্রণাম করে ৪টি ছন্দ আবৃত্তি করে বুদ্ধের গুণগান গাইলেন। বু্দ্ধকে পৃথিবীর চক্রবর্তী রাজার সাথে তুলনা করলেন, যাঁর নেতৃত্বে সবাই পুনর্জন্ম ও মৃত্যুর যুদ্ধে সবাই জয়ী হয়েছেন। বুদ্ধ সূর্যের মত আর সমবেত ভিক্ষুমন্ডলী সূর্য সন্তান হিসেবে সমস্ত কলুষতা ও বন্ধন হতে মুক্ত হতে পেরেছেন।

পাদটীকা
[১] বুদ্ধ সারিপুত্র সম্পর্কে আটটি প্রশংসাসূচক গুণের কথা বলেছেন। যথা, প্রজ্ঞাবান, মহাপন্ডিত, মহাপ্রজ্ঞাবান, বহু প্রজ্ঞাবান, হাস্যরসে প্রজ্ঞাবান, দ্রত প্রজ্ঞাবান, তীক্ষ্ন প্রজ্ঞাবান ও গভীর প্রজ্ঞাবান (পন্ডিতো, মহা পঞঞো, পুথু পঞঞো, হাসা-পঞঞো, যবন পঞঞো, তিকখা পঞঞো, ও নিবেদিকা পঞঞো)।

[২] বুদ্ধ সারিপুত্র সম্পর্কে খুবই স্তুতিমূলক কথা বলেছেন। তাঁকে চক্রবর্তী রাজার মুকুট পরার উত্তরাধিকারী রাজপুত্রের সাথে তুলনা করেছেন। পিতা (বুদ্ধের) কর্তৃক চালুকৃত ধর্মচক্রকে তিনি (সারিপুত্র) রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারী রাজপুত্রের মত চালু রেখেছেন।

[৩] বুদ্ধ চার প্রকার অরহতের কথা বলেছেন। যথা: তেবিজ্জা অরহত, ষড়বিজ্ঞা অরহত, উভয়বিধ বিমুক্ত অরহত ও প্রজ্ঞা বিমুক্ত অরহত। পবারণায় সমবেত ৫০০ ভিক্ষু সবাই অরহত ছিলেন।

তেবিজ্জা অরহত তাঁরা যারা তিন ধরনের জ্ঞানের অধিকারী হয়েছেন। যথা, (১) পূর্ব জন্ম সম্পর্কে জানতে পারেন (পূব্বে নিবাসানুস্সতি); (২) দিব্যচক্ষু জ্ঞান; ও (৩) আসব ক্ষয় জ্ঞান। তেবিজ্জা অরহত আরো দু’প্রকারের (১) যারা প্রথমে পুনর্জন্ম ও কর্ম সম্পর্কে জ্ঞাত হয়ে পরে অরহত্ব লাভ করেন; ও (২) যারা আগে অরহত্ব লাভ করেন, তারপরে পুনর্জন্ম ও কর্ম সম্পর্কে জ্ঞাত হন।

ষড়বিজ্ঞা অরহত তাঁরা যাঁরা নিম্নোক্ত ছয়টি গুণ অর্জন করেন: (১) ঋদ্ধি শক্তি (ইদ্ধিবিধা); (২) দিব্য শ্রোতা; (৩) দিব্য চক্ষু; (৪) পর চিত্ত সম্পর্কে জানতে পারা (পর চিত্ত বিজানন); (৫) পূর্ব জন্ম সম্পর্কে জানতে পারেন (পূব্বে নিবাসানুস্সতি); ও (৬) আসব ক্ষয় জ্ঞান

উভয়বিধ বিমুক্ত অরহত: যারা কায়িক ও মানসিক উভয়বিধভাবে মুক্ত। অর্থাৎ যাঁরা ৯ প্রকার ধ্যানের (৪ প্রকার রূপ যান ৪ প্রকার অরূপ যান ও সংজ্ঞা-বেদনা নিরোধ/নিরোধ সমাপত্তি) মাধ্যমে মোহ ও পুনর্জন্ম রোধ করে অরহত্ব লাভ করেন। উভয়বিধ বিমুক্ত অর্থ তিনি কায়িক ও মানসিকভাবে মুক্ত।

প্রজ্ঞা বিমুক্ত অরহত: শমথ-এর ভিত্তিতে চার প্রকারের কোন একটি অথবা চারটি ধ্যানের মাধ্যমে যিনি আত্মানুদর্শনের মাধ্যমে আসবক্ষয় জ্ঞান অর্জন করে পুনর্জন্ম রোধ করতে সক্ষম হয়েছেন।

লেখকঃ নির্বাহী পরিচালক, মোনঘর শিশু সদন, রাঙামাটি।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

%d bloggers like this: