বুদ্ধ ধর্মালম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবর দান মাস ব্যাপী শুরু হয়েছে।
১১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) রাঙামাটি সদর কুতুকছড়ি ইউনিয়নে নির্বানপুর বন ভাবনা কেন্দ্রে ২৫ তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া দুদিন ব্যাপী এ দান উৎসব মঙ্গলবারে সমাপ্ত হয়। তুলা থেকে সুতা তৈরি করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোমর তাঁতের মাধ্যমে বুনা চীবর মঙ্গলবার বিকালে নির্বানপুর ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ জ্যোতিসার মহাস্থবিরের হাতে তুলে দেন ভাবনা কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সভাপতি হেডম্যান অমল চাকমা।
এসময় ধর্মসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী।
ধর্মসভায় মঙ্গলবার সকালে প্রধান দায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।
ধর্মসভার আগে পূণ্যার্থীদের পঞ্চশীল প্রদান করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক জিনবোধি মহাস্থবির।
ধর্ম দেশনা দেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির, বোধিপুর বন বিহারের অধ্যক্ষ জিনোবোধি মহাস্থবির।
ধর্মসভার আগে বুদ্ধমূ্তি দান, সংঘ দান, অষ্টপরিষ্কার দান, কঠিন চীবর দান, কল্পতরু দান, আকাশ প্রদীপ দান, হাজার প্রদীপ দান ও নানাবিধ দান সহ দেশ ও সকল প্রাণীর মঙ্গলার্থে বিশেষ ভাবনা করা হয়।
উল্লেখ যে,বুদ্ধ ভিক্ষুরা তিন মাস বর্ষাবাস (নির্দিষ্ট একটি বিহারে অবস্থান) পালন শেষে প্রবারণা পূর্ণিমা মাধ্যমে পর পর থেকেই শুরু হয় মাস ব্যাপী কঠিন চীবর দান উৎসব।