রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইছড়ি ইউনিয়ন ও সারোয়াতলী ইউনিয়নের সীমান্ত সংযোগ নির্মাণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় পরিবারগুলো ক্ষতিপূরণে দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের উগলছড়ি আর্যপুর গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষে এক লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য রাশিকা চাকমা।
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বলেন, বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইছড়ি ইউনিয়ন ও সারোতলী ইউনিয়নে সীমান্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত জুম্ম পরিবারের ঘরবাড়ি, বিভিন্ন ফলজ বাগান – বাগিনা ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই ক্ষতিগ্রস্তের ক্ষতিপূরণ আমাদের এখনো দেওয়া হয়নি। আমরা বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েছি স্মারক লিপি দিয়েছি। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বরাবরেরও স্মারকলিপি প্রেরণ করেছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কেউ আমাদের খোঁজ নিচ্ছে না। আমরা এখন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো অসহায়। তাই আমরা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের উপযুক্ত ক্ষতিপূরন দাবি করছি।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান প্রিয় বিকাশ চাকমা, সারোয়াতলী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সুগত চাকমা, সারোয়াতলী ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য সুমায়া চাকমা,বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য নিরুপম চাকমক সহ অনেকেই।
প্রসঙ্গত, বাঘাইছড়ি ইউনিয়ন ও সারোয়াতলী ইউনিয়নে ৩০ ফুট প্রশস্ত এই সীমান্ত সড়কে উগলছড়ি এলাকার আর্য্যপুর বন বিহারের রাস্তা মুখ কজইছড়িমুখ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এবং কজইছড়িমুখ থেকে মাঝিপাড়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার, প্রায় মোট ১৯ কিলোমিটার। উক্ত সড়ক নির্মাণের ফলে ১৮৮ টি পরিবার ও স্থানীয় জুম্মদের ঘরবাড়ি, ফলজ বাগান ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।