রাঙামাটির লংগদুতে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকা এক ব্যাক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত ব্যাক্তির নাম বাবুল মিয়া(৪৫)। তার বাড়ি উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের রহমতপুর গ্রামে।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর), স্থানীয়রা জানায়, রাতের অাঁধারে বাবুল মিয়া(৪৫) কে বা কারা খুন করে রাস্তার ফেলে রেখে যায়। সকালে স্থানীয়রা বাবুল মিয়াকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসীরা জানায়, নিহত বাবুল মিয়ার স্বভাব চরিত্রে অত্যান্ত ভালো ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বুধবার রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত বাবুল মিয়া তার বোনজামাইয়ের দোকানে ফুটবল খেলা দেখে বাড়ীতে চলে যান। তার পরের দিন বৃহস্পতিবার ভোর বেলায় স্থানীয় শিশুরা মক্তবে যাওয়ার সময় রাস্তায় বাবুল মিয়াকে রক্তাক্ত অবস্থা পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসীদের জানালে পরে এলাকাবাসীরা পুলিশকে জানায়।
নিহত বাবুল মিয়ার ভগ্নিপতি ফুল মিয়া জানান, আমার জানামতে বাবুল মিয়া একজন সহজ সরল প্রকৃতির লোক। সে একই এলাকার নুরুল ইসলাম নামে এক জনের কাছে প্রায় দুই লক্ষ টাকার মত পায়। গতকাল বুধবার রাতেও সে তার বাসায় আসে বলে আমরা জানতে পারি। পরবর্তী সকালে খবর পাই সে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
এবিষয়ে নুরুল ইসলাম বলেন, আমার বাসা যুবলক্ষী পাড়া, আমি এতো দুর থেকে রাতে বেলায় বাবুল মিয়ার বাসায় কেন আসবো। আমি রাতে আমার বাসায় জলপাই বস্তা প্যাকিং করতেছিলাম। তবে কিছুক্ষণ পর তাকে ঘটনাস্থলে দেখেছে এমন প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে সাক্ষাৎ নেওয়ার সময় সে এসে বলে, স্যার আমি মিথ্যা বলেছি, আমি গত প্রায় ১২টার দিকে তার বাসায় আসি কিছু টাকা নেওয়ার জন্য। একথা বলে সে কমর থেকে ৫০০০টাকা বের করে দেখায় যে এটাকা গুলো আমি তার থেকে ধার নিয়ে চলে যাই।
গুলশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক, তবে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে মনে হচ্ছে। এবিষয় এখনো বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছেনা। পুলিশ তদন্ত করলে বিস্তারিত সত্যতা পাওয়া যাবে।
মৃতদেহ উদ্ধারের সময় লংগদু -বাঘাইছড়ি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল চৌধুরী,লংগদু থানার ওসি তদন্ত সানজিদ আহমেদ সহ লংগদু থানার একটি পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি নিশ্চিত করে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল উদ্দীন জানান, এঘটনায় মনে হচ্ছে পরিকল্পনা করে বাবুল মিয়াকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নুরুল ইসলাম নামে এক যুবককে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। এবং ময়না তদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে রাঙামাটি জেলা মর্গে পাঠানো হয়।পরবর্তীতে এবিষয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।