বৃহস্পতিবার , ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ৯ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও অপরাধ
  3. উন্নয়ন খবর
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. এনজিও
  6. করোনা আপডেট
  7. কৃষি ও প্রকৃতি
  8. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  9. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  10. খাগড়াছড়ি
  11. খোলা জানালা
  12. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  13. জাতীয়
  14. দুর্ঘটনা
  15. পর্যটন

জুরাছড়িতে সৌর বিদ্যুতে আলোকিত পাহাড়ি গ্রাম

প্রতিবেদক
সুমন্ত চাকমা, জুরাছড়ি, রাঙামাটি
ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩ ১:০৬ অপরাহ্ণ

 

রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলার দুমদুম্যা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে ৩শ ৯৬ পরিবারের বসতি। সন্ধ্যা নামতেই ঘরে ঘরে জ্বলে উঠে সৌরবিদ্যুতর আলো। আর ভেসে আসে শিশুদের সমস্বরে পাটাভ্যাসের আওয়াজ। নিভু নিভু চেরাগ কিংবা হারিকেনের আলো আর নেই। সৌর বিদ্যুতে চলছে টেলিভিশনও। অথচ গেল বছর ডিসেম্বরেরও এই দৃশ্যের কথা ভাবতে পারেনি কেউ। সৌর বিদ্যুতের কল্যাণে দ্রুত বদলে যাবে পাহাড়ের দৃশ্যপট।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ বাস্তবায়নে তিন পার্বত্য জেলার বিদ্যুৎ সংযোগ বিহীন এলাকায় বিনা মূল্যে সৌর প্যানেল বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। এর আওতায় প্রতিটি সুবিধা ভোগী একটি ১শ ওয়ার্ড ক্ষমতা সম্পন্য সোলার প্যালেন, ব্যাটারী, লাইটসহ স্থাপন করে দিচ্ছে উন্নয়ন বোর্ড।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ২য় পর্যায়ে “পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় জুরাছড়ি ইউনিয়নে ২৩৩ পরিবার, মৈদং ইউনিয়নে ৪১৪ পরিবার এবং দুমদুম্যায় ৫১৯ পরিবারকে হোম সোলার স্থাপন করে দেয়া হচ্ছে।

বামে সুবলং গ্রামের লালডিং পাংখোয়া, সাংজির পাংখোয়া, দারদী পাংখোয়া সোলার পেয়ে সরকার প্রধানের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমরা জুম চাষী, যা পাই কোন রকমে বছর চলে যায়। সোলার কিনে স্থাপন করা কল্পনা করতে পারিনা। বিনা মূল্যে সোলার পেয়ে আমাদের উপকার হয়েছে। উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার কাছেও কৃতজ্ঞতা জানাই।

বালুছড়া গ্রামের সান্তনা চাকমা, দুদুকছড়ার রঞ্জন মুখী চাকমা, তুংকুলি চাকমা বলেন, তাদের স্বামী বছর চারিক আগে মারা গেছে। তখন থেকে অন্যের জমিতে কিংবা দিনমজুর করে ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা চালাচ্ছে। কেরোসিন কেনার টাকা থাকত না বলে প্রায়ই সন্ধ্যা নামলেই ঘুমিয়ে যেতে হতো তাদের। এখন আর সেই সমস্যা নেই, নেই কেরোসিন কেনার চিন্তা। ছেলেমেয়েরা অনেক রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পারে।

স্থানীয় হেডম্যান সম্রাট চাকমা বলেন, পাহাড়ে কখনও ভাবতে পারেনি সৌর বিদ্যুতের আলোর নিচে রাতে সময় কাটাবে, দেখবে টেলিভিশন। এখন পাহাড়ের বসবাসরত মানুষের কাছে এটা স্বপ্নের মতো মনে হয়

জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইমন চাকমা বলেন, ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে সকল পরিবারকে সোলার স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসী খুবই খুশি হয়েছে। উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার এমন মহৎ উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

মৈদং ইউপি চেয়ারম্যান সাধনা নন্দ চাকমা ও দুমদুম্যা ইউপি চেয়ারম্যান সাধন কুমার চাকমা বলেন এলাকাবাসী এক সময় সন্ধ্যা নামলেই ঘুমিয়ে পড়ত তারা। এখন রাত জেগে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা আওয়াজ, টেলিভিশন দেখছে পাড়াবাসী। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞতা জানান।

প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় ৪০ হাজার পরিবারকে বিনামূল্যে সোলার প্যানেল স্থাপন করে দেওয়া হচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, তিন পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রান্তিক এলাকায় যেখানে জাতীয় গ্রীডের বিদ্যুৎ সংযোগ আগামী বিশ বছরেও পৌছানো সম্ভব হবেনা- সে সব গ্রামে আলোকিত করতে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আন্তরিকতা বিনা মূল্যে সোলান স্থাপন করে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলে আরো সোলার প্রয়োজন রয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হবে।

 

সর্বশেষ - এক্সক্লুসিভ

আপনার জন্য নির্বাচিত

খাগড়াছড়ি সদরে শনিবার ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন

বাংগালহালিয়াতে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ চাঁদা কালেক্টর আটক 

রাঙামাটিতে জীবন বীমার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন

রাজস্হলীতে তথ্য অফিসের মহিলা সমাবেশ

রাঙামাটিতে কাপ্তাই নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ এর সাফল্য 

বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শোডাউন নেতৃত্বে ওয়াদুদ ভূঁইয়ার স্ত্রী জাকিয়া জিনাত বীথি

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সোয়া দুই কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে / রাঙামাটি জেলা প্রশাসককে বিএনপির স্মারকলিপি

কাপ্তাইয়ে সমাবেশ করে নাই কোন পক্ষ, পরিস্থিতি স্বাভাবিক, পুলিশ এর কঠোর অবস্থান 

খাগড়াছড়ির চার বীর কন্যাদের সাথে স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের হয়ে গেলো ব্যতিক্রমী “মিট দ্যা প্রাইড”