শনিবার, মার্চ ২৫News That Matters

শিবচতুর্দশী মেলাকে ঘিরে কাপ্তাই সীতাঘাট মন্দিরে পূর্ণার্থীদের ভীড়

শেয়ার করুন:

 

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের ঐতিহ্যবাহী শিলছড়ি সীতারঘাট মন্দিরে ২দিনব্যাপী  হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রাচীনতম ধর্মীয় উৎসব শিবচতুর্দশী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিবচতুর্দশী ব্রত উপলক্ষে এই উৎসবের আয়োজন করেন সীতাঘাট মন্দির পরিচালনা কমিটি।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারী বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং রাতে শিব পূজার  মধ্য দিয়ে ২ দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান শুরু হলেও মূলত রবিবার ( ১৯ ফেব্রুয়ারী) মূল অনুষ্ঠানকে ঘিরে দূর দূরান্ত হতে পুর্নার্থীদের ঢল নেমেছে। এসময় ভক্তরা শিব মন্দিরে শিবস্নান, কর্ণফুলী নদীতে স্নানের মাধ্যমে পাপমোচন, ঐতিহাসিক শিব মন্দির ও কালি মন্দির সহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং পুজা অর্চনার মাধ্যমে মঙ্গল কামনা করেন।

এদিন সকালে গঙ্গা আহবান,  মাতৃঘট স্থাপন, বিশ্ব শান্তি গীতাযজ্ঞ এবং ধর্মীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গীতাযজ্ঞে পরিচালনা করেন সীতাঘাট সীতা মায়ের মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতির্ময়ানন্দ পুরী মহারাজ ।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী।

মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি রতন দাশ এর সভাপতিত্বে কাপ্তাই প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্তের সঞ্চালনায় এসময়  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে , উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রুহুল আমিন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান ও  খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিপু চন্দ্র দাশ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ দাশ ও অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতির্ময়ানন্দ পুরী মহারাজ।

মন্দিরে আগত শতবর্ষী ভক্ত প্রিয়াদাসী দাস সহ অনেকে জানান, আজ আমরা পুর্বপুরুষের মঙ্গল কামনা,নিজের এবং পরিবারের মঙ্গল কামনা করতে আজকে এই পুর্ণ তীর্থ স্থান দর্শন করতে এসেছি। এসে খুব ভালো লেগেছে।

মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি রতন দাশ ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ দাশ জানান, ঐতিহাসিক এই সীতা মায়ের মন্দিরে শিব চতুর্দশীব্রত উপলক্ষে আজকে হাজার হাজার ভক্তের আগমন ঘটেছে। এটা একটি ঐতিহাসিক তীর্থ স্থান।

সীতা মায়ের মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতির্ময়ানন্দ পুরী মহারাজ বলেন, প্রাগতৈহাসিক যুগের অপুর্ব নির্দশন রয়েছে এই সীতাঘাট মন্দিরে। এখানে শিবচতুর্দশীব্রত উপলক্ষে হাজার হাজার ভক্তের আগমন ঘটেছে। আমি এটাকে ঐতিহাসিক তীর্থস্থান ঘোষণা করার দাবি জানাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *