জাতীয় থাইসি ও কুংফু প্রতিযোগীতায় রাঙামাটি জেলার সন্তানেরা দুইটি গোল্ডসহ ৫টি পদক পেয়েছে। গত ২৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগীতায় এসব পদক অর্জন করে তারা।
কক্সবাজার লাইব্রেরী মাঠে বিজয়ীদের মাঝে পদক ও সার্টিফিকেট তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল ।
রবিবার সকালে রাঙামাটি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রাঙামাটি ড্রাগন মার্শাল আট সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক কংফু কোচ মোঃ আব্দুল মান্নান রানা।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল মান্নান রানা বলেন, রাঙামাটি ড্রাগন মার্শাল আর্ট থেকে এ প্রতিযোগীতায় রাঙামাটি থেকে মোট ৭ জন অংশ গ্রহণ করে।
প্রতিযোগীতায় ছিল ট্রেডিশনাল কংফু (জীবজন্তু স্টাইলে মারামারি), সানদা (সরাসরি মারামারি)। এ দুই ইভেন্টে গোল্ড মেডেল অর্জন করেন রাঙামাটি শহরের গোধুলী আমানত বাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী তাসমিম তাব্বাসুম নিশাত।
ছেলেদের সানদা (সরাসরি) ৮০ কেজি ক্যাটাগরিতে রোপ্য পদক অর্জন করেন রানী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র রোদ্র দত্ত, সানদা (সরাসরি) ৫৫কেজি ক্যাটাগরিতে রোপ্য পদক অর্জন করেন রাঙামাটি সরকারি কলেজের ছাত্র তারেক হাসান জিসান এবং ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেন শাহ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল মান্নান রানা বলেন, এ অর্জনের পেছনে ছেলে মেয়েদের প্রচেষ্টা মূখ্য ছিল। তাদের স্থানীয় প্রশাসন থেকে কোন সহযোগীতা করা হয়নি। মার্শাল আট উন্নয়নে স্থানীয় প্রশাসন, ক্রীড়া সংস্থা, জেলা পরিষদ ও উন্নয়ন বোর্ড পৃষ্ঠপোষকতা করলে এ অঞ্চলের ছেলে মেয়েরা আরো ভাল করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, মানুষ সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন হাঁটে। থাইসি কুংফুর মাধ্যমে মানুষ এ হাঁটার কাজটি করা যায়। চীন জাপানের মানুষেরা এ কুংফু চর্চা বেশী করে। ফলে তারা বৃদ্ধ বয়সেও গুঁজো হয়ে হাঁটে না। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ এ চর্চা করে না বলে বৃদ্ধ হলে গুঁজো হয়ে হাঁটে। দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করে চলতি রোজার পরে রাঙামাটিতে থাইসি কুংফু প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে। এখানে সব বয়সের মানুষ ভর্তি হতে পারবেন।