চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় দুবৃর্ত্ত এক যুবকের ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে খুনের শিকার রাঙামাটির মেয়ে চম্পা চাকমার (২৮) লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার সকালে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। এরপর বিকালে রাঙামাটির গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় লাশ।
রোববার রাতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ধামাইরহাট নামক এলাকায় এ হত্যাকান্ড ঘটে। চম্পা দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের রাঙ্গুনিয়ায় সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি রাঙামাটি সদর উপজেলার বন্দুকভাঙা ইউনিয়নের ছাক্রাছড়ি গ্রামের শান্তিময় চাকমার মেয়ে। রাঙ্গুনিয়ায় এনজিওতে চাকরি করতে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হল নির্মমভাবে খুনের শিকার চম্পাকে। এ ঘটনায় তার গ্রামের বাড়ি এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ঘটনার রাতে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয় বলে জানিয়ে থানার ওসি মো. মাহবুব মিল্কী বলেন, আসামিকে ধরতে পুলিশি তৎপরতা চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনার রাতে চম্পা বাসায় ফেরার পথে ধামাইরহাট ওয়ান ব্যাংকের নিচে এনাম (৩০) নামে স্থানীয় এক যুবক অতর্কিত হাজির হয়ে চম্পার গতিরোধ করে। ঘাতক এনাম তার বোনের মাধ্যমে পদক্ষেপ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সেই ঋণের কিস্তি পরিশোধ নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছুরি বের করে চম্পার গলায় শ্বাসনালি বরাবর আঘাত করে এনাম পালিয়ে যান। ঘাতক এনাম রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর পারুয়া কালীমন্দির এলাকার মো. নুরুজ্জামানের ছেলে। পরে স্থানীয়রা চম্পাকে উদ্ধার করে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর লাশ উদ্ধার করে রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ।
থানার ওসি মো. মাহবুব মিল্কী বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ সোমবার সকালে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ঘাতক পলাতক। তাকে ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে। যে কোনো মুহূর্তে আসামিকে গ্রেফতার সম্ভব হতে পারে বলে আশা রাঙ্গুনিয়া ওসির।