রাঙামাটির লংগদুতে স্থানীয় পাহাড়ী-বাঙালি সম্প্রীতি বৃদ্ধিকল্পে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার এর উপস্থিতিতে স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ), সকালে লংগদু জোন সদর মাইনীমুখ আর্মী ক্যাম্প মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি খাগড়াছড়ি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ।
এ সময় তিনি বলেন, পাহাড়ে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষে সকলকে কাজ করে যেতে হবে।
পাহাড় থেকে অস্ত্র উদ্ধার এবং সন্ত্রাসীদের দমনে সকলকে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন বর্তমান সরকার সমতলের ন্যায় পার্বত্য অঞ্চলেও যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে ব্যাপক উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে।
আলোচনা পূর্বে সকলেই তাদের স্থানীয় সমস্যার উপর আলোকপাত করেন এবং সেনাবাহিনীর প্রতি তাদের আস্থা ও বিশ্বাসের কথা তুলে ধরেন।
এ ´সময় আর্থিক সহায়তা গ্রহণকারী সকলেই লংগদু জোন, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন তথা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট তাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রিজিয়ন কমান্ডার আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে লংগদু সেনা জোন তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি দরিদ্র মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে গরীব ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান, বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে নানাবিধ সহায়তা প্রদান ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার মাধ্যমে দেশ গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ।
আলোচনা পূর্বে সকলেই তাদের স্থানীয় সমস্যার উপর আলোকপাত করেন এবং সেনাবাহিনীর প্রতি তাদের আস্থা ও বিশ্বাসের কথা তুলে ধরেন।
এসময় আর্থিক সহায়তা গ্রহণকারী সকলেই লংগদু জোন, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন তথা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট তাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,লংগদু জোন কমান্ডার লে.কর্নেল হিমেল মিয়া, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ঝান্টু, লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল উদ্দীন, উপজেলা আওয়ামীলীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি মোঃ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু, মাইনী ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল প্রমূখ।
এর আগে লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ আর্মি ক্যাম্পে, লংগদু জোনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রিজিয়ন কমান্ডার, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কর্তৃক ১০০ টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে মাহে রমজান ও বিজু উৎসব উপলক্ষ্যে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। জোনের পক্ষ হতে সর্বমোট ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান এবং সহায়তা প্রদান করা হয়।
এসময় ১৫ জন অসহায় জনসাধারণের মাঝে চিকিৎসা সহায়তা ও দরিদ্রতা দূরীকরণের লক্ষ্যে নগদ আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। জোনের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার অন্তর্গত করল্যাছড়ি এবং দাঙ্গাবাজারে ২টি গভীর নলকূপ প্রদান, ২ টি পরিবারকে ছাগল প্রদান, একজন মহিলাকে স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্যে সেলাই মেশিন প্রদান এবং ২টি পরিবারকে টিন সহায়তা প্রদান করা হয়। এছাড়াও মেধাবী এবং আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ১৩ জন ছাত্র/ছাত্রীদের জোনের পক্ষ হতে বৃত্তি প্রদান করা হয়।