খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী যোগ্যাছোলা গ্রামের মাহা সাংগ্রাই ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে যোগ্যছোলা যুব সমাজের আয়োজনে রবিবার (১৬এপ্রিল) সকালে মঙ্গল রক্ষিত বৌদ্ধ বিহার মাঠ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় মৈত্রীময় জলবর্ষণ, গুনীজন, কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
এছাড়া উৎসব উপলক্ষে দিনব্যাপি ঐতিহ্যবাহী “ধ”খেলা, মাগ্রং, বাঁশে উঠা, হা-ডু-ডু, দড়ি টানাসহ শিশুদের বিভিন্ন খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এই সময় জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পাড়া মহল্লা থেকে শত শত নরনারীর আগমন ঘটে।
অংগ্য মারমা’র সঞ্চালনায় আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি ছিলেন ২১০ নং মৌজা প্রধান কংজরী চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম্রাসাথোয়াই মারমার। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেডিকেল ইউনিভার্সিটির চাকুরীজীবি দোঅংগ্য মারমা, ২৩ নং কালাপানি মৌজার কার্বারী থোয়াই অং প্রু, যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক অংশেপ্রু মারমা, সংবর্ধিত অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মংহ্লাপ্রু মারমা প্রমূখ।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ত্রিপিটক পাঠ করেন পিন্ডুলা শ্রামন।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে যুব সমাজের দলনেতা থোয়াইম্রা মারমা সুইচিং বলেন, সাংগ্রাই উৎসব আমাদের প্রাণের উৎসব। বছরের এই দিনে ছোট-বড় , শিক্ষক- শিক্ষার্থী, চাকুরীজীবি, শ্রমিক অর্থাৎ গ্রামের সবাই একত্রে মিলিত হয়ে আনন্দ- উৎসব করি।
সাংগ্রাই জলকেলির মাধ্যমে আমরা আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে তুলে ধরছি। সকল দুঃখ ও ভেদাভেদ ভুলে আমরা নতুন বছরকে বরণ করে নিই।
আলোচনা সভার আগে যুব সমাজ ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ২০২৩ সালের খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ায় ক্যয়জরী মহাজন, ২১০ নং মৌজা প্রধান কংজরী চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মংহ্লাপ্রু মারমা ও মেধায় বৃত্তি প্রাপ্ত পাইক্রাউ মারমা ও সামাচিং মারমাকে সন্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
যুবনেত্রী উক্রা মারমা রিতা বলেন, এই সমাজে ভালো কিছু অর্জিত হলে সে আনন্দ আমাদের সবার মাঝে পৌঁছে যায়। তাই সমাজের জন্য বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিবর্গ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়েছি। যা আগামীতে আমাদের সমাজ উন্নয়নে ও তরুণ সহ সকল শ্রেনির মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।