রাঙামাটি শহরে পাহাড়ের পাদদেশে পাহাড় ধসের সতর্কতা জারি।বৃষ্টি শুরু হলে নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে শহরে মাইকিং করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। এদিকে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে কাপ্তাই হ্রদে সকল নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। পরবর্তী নিদের্শনা না দেওয়া পর্যন্ত হ্রদে নৌ চলাচল বন্ধ থাকবে।
শনিবার বিকাল ৫ টা থেকে মাইকিং করে প্রশাসন। এদিকে বিকালে পাহাড় ধসে সবচেয়ে ঝুকিপুর্ণ এলাকা শিমুলতুলি, রূপ নগর ও লোকনাথ মন্দির এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহামান ও রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ। এ সময় তারা ঘুর্নিঝড় মোকাবেলায় স্থানীয়দের সতর্ক থাকার পাশাপাশি বৃষ্টি শুরু হলে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এদিকে ঘুর্নিঝড় মোকাবেলায় ২২ টি সরকারী প্রতিষ্ঠানকে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে কেউ অপারগতা জানালে তাদের জোর করে আশ্রয় কেন্দ্র নেয়া হবে বলেন পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ।
২০১৭ সালে রাঙামাটিতে টানা বৃষ্টির কারণে ভয়াবহ পাহাড় ধস হলে ১২০ জনের প্রাণহানী ঘটে। সে সময় প্রয়োজনীয় উদ্ধারকারী সরঞ্জাম না থাকায় উদ্ধারকাজ বিলম্ব হয় ১ সপ্তাহের বেশী।
মোখা মোকাবেলায় বর্তমানে রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের কাছে প্রয়োজনীয় উদ্ধারকারী সরঞ্জাম আছে বলেছেন ফায়ার সার্ভিস রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো: দিদারুল আলম।
রাঙামাটি শহরের ভেদভেদীর শিমুল তুলি, রুপ নগর, লোকনাথ মন্দির এলাকা, কল্যাণপুর, স্বর্ণটিলা, রিজার্ভ বাজার আব্দুল আলী স্কুল ও পুলিশ সুপার কার্যালয় নিচ সংলগ্ন এলাকা, কিনামনি ঘোনাকে সবচেয়ে পাহাড় ধস ঝুকিপুর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন।