দীর্ঘ বছর যাবৎ অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকা রাঙামাটির সুখী নীলগঞ্জ এলাকার রাঙামাটি জেলা পরিষদের অধীনেস্থ মিনি চিড়িয়াখানায় গড়ে তোলা হছে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষার মানোন্নয়নে রাঙামাটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জেলা পরিষদ আবাসিক কলেজ -এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। রবিবার সকালে অন্তবর্তীকালিন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা কলেজটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করেন।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদ আবাসিক কলেজ ইংরেজি মাধ্যম নয় বরং ইংরেজি কারিকুলামে পাঠদান হবে। বাংলা ছাড়া অন্যান্য সকল সাবজেক্ট ইংরেজিতে পড়ানো হবে। তারা প্রতিযোগিতামূলক হবে। এটা খুব জরুরি। পার্বত্য চট্রগ্রামে আমাদের আরও স্কুলের প্রয়োজন রয়েছে। আমি পার্বত্য অঞ্চলের জন্য আরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্থাব করবো। আমার প্রথম এজেন্ডা হচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা। আমাদের এখানে নটরডেম, ভিকারুননিসা, ঢাকা কলেজ নাই। বিশ্ববিদ্যালয় একটা দিয়েছে, ভালো সেটা। কিন্তু তাও বেসিক ফাউন্ডেশনটা দরকার স্কুল থেকে।
২০০২ সালে রাঙামাটি জেলা পরিষদের উদ্যোগে জায়গাটিতে বোটানিক্যাল গার্ডেন ও মিনি চিড়িয়াখানা স্থাপিত হয়। তবে দীর্ঘদিনের অবহেলা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এটি অকেজো হয়ে পড়েছিল। সম্প্রতি চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলো কক্সবাজারের দুলাহাজারা সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হলে, পরিত্যক্ত এই স্থানকে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বেছে নেওয়া হয়।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এরশাদ হোসেন চৌধুরী, পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দরা, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় রাজনৈতিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।