রাঙামাটি শহরের ভেদভেদীর বায়তুস ছালাম কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির দোকান ভাড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে দুটি পক্ষ।
আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি পক্ষ মসজিদ কমিটির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলার পর বুধবার সকালে রাঙামাটি প্রেসক্লাবে বায়তুস ছালাম কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক আহসানুলের নেতৃত্বে মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলন করে।
এ সময় সভাপতি ও সম্পাদক দাবী করেন, মসজিদ কমিটির সদস্য আলাউদ্দিন দুই তিনজন ব্যাক্তিকে সাথে নিয়ে কিছুদিন আগে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। সেখানে তিনি মসজিদ কমিটি ও উপদেষ্টা কমিটির এক উপদেষ্টা সম্পর্কে বিভ্রান্তিমুলক অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা বলেন। যেগুলোর কোন সত্যতা নেই।
মুলত স্থানীয় মুসল্লীদের মধ্যে আস্থা বিশ্বাসের ফাটল ধরাতে এ কাজ করেছে আলাউদ্দিন।
সত্য কথা হল বছর দুয়েক আগে স্থানীয় তারুণ্য ক্লাবের কারণে মসজিদে কিছু আয়বর্ধক কাজ সম্পাদন করা হয়। এ কাজের অংশ হিসেবে মসজিদের জায়গায় দোকান নির্মাণ করা হয়। এ দোকান ভাড়া দিয়ে কিছু টাকা মসজিদ ফান্ডে জমা হয়।
মসজিদ কমিটির সদস্যদের সম্মতিতে তারুণ্য ক্লাবকে কৃতজ্ঞতার অংশ হিসেবে এ ফান্ড থেকে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা তারুণ্য ক্লাবের উন্নয়নের জন্য দেয়া হয়। কিন্তু এটা মানতে পারেননি আলাউদ্দিন। বিরোধীতা করেন। এর অংশ হিসেব তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে বিভ্রান্তি ছড়ান। আলাউদ্দিনের সাথে স্থানীয় মুসল্লীরা নেই।
এ বিষয়ে আলাউদ্দিন বলেন, আমি তারুণ্য ক্লাবকে টাকা দেওয়ার পক্ষে ছিলাম না। আমি এর বিরোধিতা করেছি। মসজিদ একটি ক্লাবকে অনুদান দেবে তা মানায় না।
টাকা আত্মসাৎ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আলাউদ্দিন বলেন, ক্লাবকে অনুদান দেওয়াও টাকা আত্মসাৎ বলে আমি মনে করি।