রাঙামাটির কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে শুধুমাত্র ২টি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এ দুটি ইউনিট থেকে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ৭১ মেগাওয়াট। কেন্দ্র দুটির মধ্যে ২ নম্বর ইউনিট থেকে ৩৫ মেগাওয়াট এবং ৩ নম্বর ইউনিট থেকে ৩৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে এগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা ৫০ মেগাওয়াট করে ১০০ মেগাওয়াট। কাপ্তাই হ্রদে পানি কমায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫০ মেগাওয়াট।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্র জানায়, কাপ্তাই হ্রদে পানির উপর নির্ভর করে কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন। হ্রদে যত বেশী পানি থাকবে ততই বিদ্যুৎ উৎপাদন বেশী হবে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদ যখন পানিতে পুরিপর্ণ থাকে তখন কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ টি ইউনিট পুরোদমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। ৫ টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫০ মেগাওয়াট। সম্প্রতি হ্রদের পানির স্তর কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে আসে। বৃষ্টি না হলে উৎপাদন আরো কমে আসবে আশংকা কেন্দ্রের প্রকৌশলীদের।
কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্র জানায়, বর্তমানে ৪ ও ৫ নং ইউনিট পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে। ১ নং ইউনিট আংশিক চালু রয়েছে। পানির স্তর আরো কমলে আরোও বাকী ইউনিটগুলো বন্ধ হতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রের কর্মকর্তারা।’
বৃষ্টি না হলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধিরও কোন সম্ভাবনা নেই বলেন কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি আবদুজ্জাহের। তিনি বলেন, সচরাচর ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে বৃষ্টি হয় না।
প্রতি বছর এই সময় কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে যায়। তখন কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইউনিটের সংখ্যা কমিয়ে দেয়। তবে কোন কোন সময় জানুয়ারী, ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসেও ভারি বৃষ্টিপাত হবার রেকর্ড রয়েছে। সে রকম হঠাৎ করে বৃষ্টি নামলে হ্রদের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। তখন বিদ্যুৎ উৎপাদনও বৃদ্ধি করা হবে।
এখন বৃষ্টি আশার অপেক্ষায় আকাশের পানে চেয়ে থাকা ছাড়া কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের আপাতত কিছু করার নেই বলে জানান প্রকৌশলীরা।
সর্বশেষ ২৯ মার্চ সকাল ১০ টার সময় কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত প্রকৌশলীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রুলকার্ভ অনুযায়ী ( পানির পরিমাপ) কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল (মিনস সি লেভেল) ( এম এস এল)। সে জায়গায় বর্তমানে আছে ৮৫.৫১ ফুট( এম এস এল)।