তঞ্চঙ্গ্যা ভাষার কবি ও তরুণ গবেষক রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের দেবতাছড়ি গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক চন্দ্রসেন তঞ্চঙ্গ্যা।
তাঁর সম্পাদনায় তঞ্চঙ্গ্যা গানের প্রথম সংকলন চিত্রাংফুল গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
গত সোমবার(৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ এর আগে উপস্থিত প্রধান অতিথি খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার এই বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
এইসময় রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী ও দীপ্তিময় তালুকদার, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মফিজুল হক, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে, উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভুমি) মারজান হোসেন সহ বইটির সংকলক চন্দ্রসেন তঞ্চঙ্গ্যা ও তাঁর সহধর্মিণী তঞ্চঙ্গ্যা গানের শিল্পী সুমনা তঞ্চঙ্গ্যা উপস্থিত ছিলেন।
মোড়ক উন্মোচন পর্বটি সঞ্চালনা করেন কাপ্তাই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত।
চন্দ্রসেন তঞ্চঙ্গ্যা জানান, বইটির প্রকাশক: অমল বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা। এতে সংকলিত সকল গান সুরারোপিত। এটি তঞ্চঙ্গ্যা গানের প্রথম সংকলন।
তিনি আরোও জানান, তঞ্চঙ্গ্যা গানের আধুনিক যুগ শুরু হয় ১৯৭৯ সাল থেকে। ১৯৭৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সুরারোপিত শতাধিক গান হতে বাছাই করে ৮৫টি গান এই সংকলনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গানগুলো লিখেছেন ২৭ জন গীতিকার এবং সেগুলো সুরারোপ করেছেন ২৭ জন সুরকার। গীতিকারদের মধ্যে কার্ত্তিক চন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যা, ঈশ্বর চন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যা ও লগ্ন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা প্রয়াত হয়েছেন। গানগুলো আদি চন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যা, মনোজ বাহাদুর, সুরেশ ত্রিপুরা, ফনীন্দ্রলাল ত্রিপুরা, সুচন্দা প্রভা তঞ্চঙ্গ্যা এর মতো জনপ্রিয় সুরকার যেমন সুর দিয়েছেন, তেমনি নিরন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, শান্ত তঞ্চঙ্গ্যা, সজীব তালুকদার এর মতো নবীন গীতিকারদের গানও এ সংকলনে যুক্ত করা হয়েছে।
বইটির প্রকাশক অমল বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা জানান, আমাদের তঞ্চঙ্গ্যা জাতির রয়েছে বৈচিত্র্যময় কৃষ্টি ও সংস্কৃতি। বিশেষ করে তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় রচিত অনেক গান লিখিত না থাকায় হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই আমরা বই আকারে গানগুলো সংকলনের ব্যবস্থা করেছি।
কাপ্তাই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত জানান, এটি একটি অনন্য উদ্যোগ। চিত্রাংফুল বইটি সংকলন এর মাধ্যমে তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় রচিত গানগুলো শত শত বছর বেঁচে থাকবে।