রামগড়ে জান্নাতুল ফেরদৌস আনিকা (১৯) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে অচেতন অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আনিকার স্বামী বাহরাইন প্রবাসী আবুল হোসেন স্থানীয় এরশাদ আলীর (৫৫) দ্বিতীয় পুত্র।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রামগড় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সামসুল আমীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থল ভিকটিমের শশুর বাড়ি ১নং ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের মধ্যম লামকুপাড়ায় সোমবার দুপুরে গলায় ফাঁস দেন ওই গৃহবধূ। স্বজনরা জানতে পেরে শশুরকে অবহিত করেন এবং তারা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, জান্নাতুল ফেরদৌস আনিকার পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাদের মেয়েকে পরিকল্পিত মেরে ফেলা হয়েছে। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারেনা বলে তারা জানান এবং এর প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে সঠিক বিচার দাবি করেন।
এঘটনায় রামগড় থানায় অপমৃত্যু মামলা (০৫/২০২৩) দায়ের করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিকভাবে গত ৮/৯ মাস আগে জান্নাতুল ফেরদৌস আনিকার সাথে বিয়ে হয় আবুল হোসেনের। বিয়ের ৪/৫ মাস পরে বাহরাইনে পাড়ি দেন আবুল হোসেন। বিদেশে যাবার পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন ব্যক্তিগত বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দিতে থাকে। মোবাইলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়াঝাটি প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকে। এনিয়ে দু পরিবারের মাঝে বেশ কয়েকবার আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা হয়েছে। তবে, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়নি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামগড় থানার এসআই সামসুল আমীন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে জান্নাতুল ফেরদৌস আনিকা আত্মহত্যা করেছেন। তবে প্রকৃত কারণ জানতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।