শনিবার , ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

সড়ক বদলে দিয়েছে পাহাড়ি জনপদের চিত্র

প্রতিবেদক
পাহাড়ের খবর ডেস্ক।
ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২ ৬:২৬ অপরাহ্ণ

 

হিমেল চাকমা, রাঙামাটি

পার্বত্য চুক্তির পর রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বহু সড়ক ও সেতু নির্মাণ করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড । সমন্বিত উন্নয়নে পাহাড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যপক উন্নতি হয়েছে। এতে আয় বেড়েছে মানুষের।

এলজিইডির অর্থায়নে   রাঙামাটির ভেদভেদী-রাঙাপানি ভায়া তবলছড়ি সড়ক, আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়ক, ঘাগড়া-জুনুমাছড়া ভায়া কাউখালী সড়ক, কাপ্তাই উপজেলা কারিগর পাড়া-রাজস্থলী সড়ক, ঘিলাছড়ি সমাজকল্যাণ-রামহরি পাড়া ভায়া বুড়িঘাট সড়কগুলো জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে বড় ভূমি রাখছে।

 

রাঙামাটি-আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কটি এখন রীতিমতো পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আঁকাবাঁকা, উঁচু-নিচু পাহাড় বেয়ে গেছে সড়ক। পথে একদিকে পাহাড়, অন্যদিকে কাপ্তাই হ্রদের নীল পানি পর্যটকদের মুগ্ধ করে। সড়কটি ঘিরে গড়ে উঠেছে অনেক রিসোর্ট।

বড়াদাম গ্রামের পলাশ চাকমা (৪৫) বলেন, ‘সড়কটি হওয়ার আগে আমাদের উৎপাদিত মালামাল বাজারে নিতে কষ্ট হতো। বাজারে গিয়ে যে দামে বিক্রি হতো, তার চেয়ে পরিশ্রম করতে হতো বেশি। সড়কটি হওয়ায় আমাদের মালামাল রাঙামাটির ব্যবসায়ীরা এসে নিয়ে যাচ্ছেন। বিকেলে রাঙামাটি শহর থেকে অনেক মানুষ আসছেন। আমাদের বাড়ির আঙিনায় উৎপাদিত ফল ও সবজি রাস্তায় আনলে তা বিক্রি হচ্ছে। এতে আমাদের আয় বেড়েছে।’

 

এলজিইডির তথ্যমতে, পাঁচটি পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩৫৯ দশমিক ৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫৮ কিলোমিটার কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে সেতু রয়েছে ২ হাজার ৩৪৮ মিটার। আরও ১ হাজার ৫৪০ মিটার সেতুর কাজ চলমান।

রাঙামাটি সদর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী রনি সাহা বলেন, কাপ্তাইয়ে ২ দশমিক ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে কাপ্তাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে। ২ দশমিক ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে কাউখালী, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল উপজেলায় ভূমিহীন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।

৮ কোটি টাকা ব্যয়ে লংগদুর কালাপাগুজ্যা, মাহিল্যা, রাজস্থলী বাজার, ঘিলাছড়ি বাজারে হাটবাজার উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। ৫ দশমিক ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদ, মন্দির কিয়াং, শ্মশান, কবরস্থান উন্নয়নের কাজ করা হয়েছে। ৪ দশমিক ২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কাপ্তাই উপজেলা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বরকল, বিলাইছড়ি, রাঙামাটি সদর উপজেলা কমপ্লেক্সের কাজ চলছে। নন-পৌরসভা শহর উন্নয়ন করতে ৭ দশমিক ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে কাপ্তাই ও লংগদু উপজেলায় কাজ চলছে।

প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৮২ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২২টি ইউপি কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণকাজ শেষের দিকে। রাঙামাটির কাপ্তাই-কারিগরপাড়া-রাজস্থলী উপজেলা সদর পর্যন্ত ৩৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৪ কিলোমিটার সড়ক, কালভার্ট, সেতু নির্মাণের কাজ শিগগির শুরু হবে বলে জানান রনি সাহা।

 

এদিকে রাঙামাটি জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে পার্বত্যাঞ্চলের দুর্গম অঞ্চলে গ্রামীণ সড়কে ব্যপক উন্নতি হয়েছে।এ কারণে দুর্গম এলাকার উৎপাদিত পণ্য দ্রব্য সহজে বাজার জাত করতে পারছে উৎপাদনকারীরা। এতে পণ্যর ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে চাষীরা।

রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে পাহাড়ে অন্যান্য অবকাঠামোর পাশাপাশি সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে  জেলা পরিষদ গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে যা্চ্ছে। এ সুফল পাচ্ছে

পাহাড়ের মানুষ।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠার পর থেকে পার্বত্যাঞ্চলে দুর্গম এলাকার সড়ক উন্নয়নে কাজ করে যা্চ্ছে।  সড়ক উন্নয়নের ফলে পাহাড়ে মানুষের আয় বেড়েছে। মানুষের কষ্ট কমেছে। পার্বত্য চুক্তির পর পার্বত্যাঞ্চলে উন্নয়নের জোয়ার বইছে।

 

রাঙামাটি সাংসদ দীপংকর তালুকদার বলেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তির পর পাহাড়ে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। এর সুফল এখন পাহাড়ের মানুষ পাচ্ছে। আওয়ামীলীগ সরকার ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকলে পাহাড়ে আরো উন্নয়ন হবে।

 

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত
%d bloggers like this: