কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ার সাথে সাথে কাপ্তাই বাঁধের অভিমুখ কাপ্তাই জেটিঘাটে কচুরিপানার জট লেগেছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ভেসে আসাএ কচুরিপানা জট লেগেছে বাধেঁর সম্মুখ ভাবে।
অপরিচিত নতুন কেউ এটি দেখলে কচুরিপানার ডোবা বা খেলার মাঠ মনে করবে।
জেটিঘাট পল্টুন সংলগ্ন ১ কি: মি: এলাকা জুড়ে কাপ্তাই হ্রদের কচুরিপানার বিশাল বহরে দুর্ভোগে পড়ছেন এই ঘাট দিয়ে চলাচলকারী শত শত যাত্রী এবং বোট চালকরা।
মাত্র ৫ মিনিটের জায়গায় পৌঁছাতে সময় লাগছে ১ ঘন্টার উপর। যার ফলে গত মঙ্গলবার হতে কাপ্তাই -বিলাইছড়ি লাইনের বোট ইঞ্জিন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বোট মালিক সমিতির লাইনম্যান শীতল সরকার বলেন, বুধবার (৯আগস্ট) সকাল ৯টা হতে ১২টা পর্যন্ত একটি ইঞ্জিন চালিত বোট জেটিঘাট হতে বিলাইছড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলেই মাঝ পথে কচুরি পানার আটকে পড়ে। শেষ পর্যন্ত পল্টুনে ফিরে আসে বোটটি।
কাপ্তাই জেটিঘাট মৎস্য চাষী মো: ইউনুস জানান, বিগত ১ সপ্তাহ যাবৎ কাপ্তাই লেক এবং এর আশেপাশে লাগাতার বৃষ্টির ফলে এই হ্রদ দিয়ে চারদিক হতে ছুটে আসে কচুরিপানা।
হ্রদের বিভিন্ন এলাকা হতে কচুরিপানা এসে জেটিঘাট পল্টুন , কার্গো এলাকা,জেলেপাড়া, স’মিল, কাপ্তাই বাঁধ, শহীদ শামসুদ্দিন ঘাট সহ জেটিঘাটের আশেপাশে এলাকায় এসে জলজট সৃষ্টি হয়। যার ফলে কাপ্তাই -বিলাইছড়ি উপজেলা নৌ-চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।কোন নৌ চলাচল করতে না পাড়ায় সীমাহীন দুর্ভোগ পড়ছে সাধারন লোকজন।
মৌসুমী ব্যবসায়ী কালাম ও কনা তঞ্চঙ্গা বলেন, বিশাল কচুরিপানা জটের ফলে পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকা হতে উৎপাদিত ফসল কৃষকরা বাজারে আনতে পারছে না।
কাপ্তাই উপজেলার ৪নং কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ বলেন, কচুরিপানা জটের ফলে এলাকার সর্বস্তরের লোকজনের ক্ষতি হচ্ছে।
ইতিমধ্যে একটি পরিবার লেকে আটকে পড়ায় বহু কষ্ট করে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ব্যবস্থাপকের সাথে যোগাযোগ রাখছি লেক হতে কচুরিপানা অপসারণের জন্য। ইতিমধ্যে পিডিবি কর্তৃপক্ষ কিছু কচুরিপানা অপসারণ করেছেন। সামনে আরোও কিছু অপসারণ করা হবে বলেন তিনি ।