শুক্রবার , ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

স্থিতিশীল হয়নি কাপ্তাই হ্রদের পানি; চাপ কমাতে ছাড়া হচ্ছে পানি

প্রতিবেদক
হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩ ১০:০৭ অপরাহ্ণ

কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলে বাড়িঘর রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় বাঁধের পানির বাঁধের ১৬টি দরজা দিয়ে পানি ছাড়া হচ্ছে।
শুক্রবার সকাল ১০ টায় প্রতি দরজায় ৬ ইঞ্চি করে পানি ছাড়া হচ্ছে। বর্তমানে হ্রদের পানির লেভেল ১০৭.৮৫ ফুট এমএসএল। ১৬টি দরজায় প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ টি ইউনিটে প্রতি সেকেন্ডে ২৫ হাজার কিউসেকসহ মোট ৩৪ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে।
তবে কর্নফুলী নদী হয়ে ভারতের মিজোরাম থেকে নেমে আসা পানির পরিমান বেশী হওয়ায় বাঁধের পানি ছাড়া হলেও তেমন কমছে না হ্রদের পানি।
এখনো লংগদুর গুলশাখালি বগাচতর, লংগদু সদর ইউনিয়নের প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়ক পানির নিচে তলিয়ে আছে। সড়কের দু ধারে পানি উঠায় হুমকির মুখে পড়েছে রাঙামাটি শহরের রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফিরাসী বাঁধ সড়কটি। পানি না কমলে যেকোন মুহুর্তে ধসে পড়তে পাড়ে সড়কটি। এছাড়াও কুতুকছড়ি এলাকায় সড়কে পানি উঠায় বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে রাঙামাটি খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ। ।
ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাড়িঘরে পানি উঠার পাশাপাশি বাগান ফসলের ক্ষতি বাড়ছে। দেখা দিয়েছে সবজি সংকট। বেড়েছে সাপ পোকা কামড়ের আতংক।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রুলকার্ভ অনুযায়ী এ সময়ে ১০১. ৩০ ফুট এমএসএল থাকার কথা। সেখানে বর্তমানে এ পানি অবস্থান করছে ১০৭.৮৫ ফুট এমএসএল
কর্নফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের বলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে এবং গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে ছেড়ে দিয়েছি। পানি যেন ১০৮ ফুট অতিক্রম না করে সেজন্য বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়া হবে। পানি স্থিতিশীল অবস্থায় আসলে বন্ধ করার চিন্তা করা হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পানি ছাড়ার দরজা খোলা রাখা হয়েছে।

প্রতি সেকেন্ডে এই ১৬টি দরজা ও ৫টি ইউনিট দিয়ে ৩৪ হাজার কিউসেক পানি হ্রদ থেকে অপসারণ হচ্ছে। কাপ্তাই হ্রদের সর্বোচ্চ পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল। মানবিক বিবেচনা ও ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত দেশের একমাত্র পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রে পাঁচটি ইউনিট থেকে সর্বমোট ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, যা জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হয়। বর্তমানে প্রতি সেকেন্ডে ২০৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে।

ভিডিও

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

%d bloggers like this: