সুমন্ত চাকমা, জুরাছড়ি।
জুরাছড়ি উপজেলায় ৩৩ হাজার মানুষকে কোভিড-১৯ টিকার প্রথম ডোজ প্রদান করা হবে। এটি সফল করতে উপজেলা সকলকে সহযোগীতায় এগিয়ে আসতে হবে।
রবিবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সারা দেশের ন্যায় জুরাছড়ি উপজেলায় কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা একথা বলেন।
উপজেলা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃঅনন্যা চাকমা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিউল আজম, ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আল্পনা চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া শিক্ষা কর্মকর্তা কৌশিক চাকমা, রির্সোস সেন্টারে ইন্সেট্রাক্টর মোঃমরশেদুল আলম, নব নির্বাচিত বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা, জুরাছড়ি মৌজা হেডম্যান সন্তোষ দেওয়ান, কুসুমছড়ি মৌজার হেডম্যান মায়া নন্দ দেওয়ানসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
সভা শুরুতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মপরিকল্পনা আলোকপাত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃঅনন্যা চাকমা।এ সময় তিনি বলেন,
জুরাছড়িতে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ৩৩ হাজার মানুষকে কোভিড-১৯ টিকা প্রথম ডোজ প্রদানের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তবে ১২-১৭ বছর বয়সীদের টিকা রাঙামাটি শহরে গিয়ে নিতে হবে। অন্যদের যথাযথ ভাবে টিকা প্রদানের জন্য স্বাস্থ্য কর্মীরা প্রস্তুতি নিয়েছে।
তিনি আরো জানান, পার্বত্য অঞ্চল হিসেবে এটিকা প্রদান কার্যক্রম জুরাছড়ি উপজেলার আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অবহ্যত থাকবে।
এ সময় শিক্ষা কর্মকর্তা কৌশিক চাকমা বলেন,টিকা প্রদান কার্যক্রম সফল করতে দুগম অঞ্চলের কর্মরত শিক্ষকরা সব রকমের সহায়তা ভুমিকা পালন করবে।
এ সময় ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা বলেন, যে সব পাড়া বা গ্রামে ১২-১৭ বছরের বয়সি এখনো টিকা নিতে পারেনি তাদের তালিকা করে একটি বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
৩৩ হাজার মানুষদের কোভিড-১৯ টিকা প্রথম ডোজ নিশ্চিত করতে পাড়া কর্মী, শিক্ষক ও হেডম্যান -কার্বারীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে।