গত রবিবার রাঙামাটি শহর থেকে একটি ট্রাকে করে অবৈধভাবে পাচার হচ্ছিল সেগুন কাঠের ফার্নিচার। রাঙামাটি চট্টগ্রাম মহাসড়কের মানিকছড়ি চেক পোস্টে সন্ধ্যায় আটক করা হয় ফার্নিচার ভর্তি ট্রাকটি।
যার নম্বর ছিল খুলনা মেট্রো ট ১১-২০৭৭। ট্রাকটি আটকের পর নানান তৎপরতা দেখা যায় পরিবহনের সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের।
ট্রাক থেকে নামানো হয় ফার্নিচারগুলো। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে এক মিনি ট্রাক ফার্নিচার রেখে বাকী ফার্নিচারগুলো নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে চলে যায় ট্রাকটি।
এর কয়েক মিনিট পর একটি মিনি ট্রাক আসে চেকপোস্টে। পরিবহনের ট্রাক থেকে নামিয়ে রাখা ফার্নিচারগুলো তোলা হয় মিনি ট্রাকে। এরপর দ্রুত চেকপোস্ট ত্যাগ করে মিনি টাকটি।
ট্রাকটি আটকের পর থেকে চেক পোস্টে নিরাপত্তা ও চোরাচালান রোধের কাজে নিয়োজিত সংস্থার প্রতিনিধিদের দেখা যায়।
স্থানীয় এক দোকানদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যেগুলো বৈধ সেগুলো পরিবহনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে মানলাম কিন্তু যেগুলো অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সেগুলো তো বন বিভাগ জব্দ করার কথা কিন্তু সেটা না করে ফার্নিচারগুলো কোথায় নেওয়া হল। বিষয়টি বন বিভাগ জানবে।
চেক পোস্টে দায়িত্বরত পার্বত্য় চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের ফরেস্ট গার্ড সাদেকুর রহমান বলেন, আমরা সবাই মানবিক বিবেচনায় অবৈধ ফার্নিচারগুলো ছেড়ে দিয়েছি।
চেক পোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের উপ পরিদর্শক নয়ন চক্রবর্তী বলেন, আমি যতটুকু জানি তা হল ট্রাকে ১৫ আইটেম ফার্নিচার পরিবহনের কাগজ ছিল কিন্তু পরিবহন হচ্ছিল ১৭ আইটেম। ২ আইটেম রেখে বাকী ১৫ আইটেম ছেড়ে দেওয়া হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জে দায়িত্বরত রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুল হামিদ বলেন, চেকপোস্ট বন বিভাগের একক সিদ্ধান্তে চলে না। এখানে সম্মিলিত একটি সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এসব হয়। তবুও বিষয়টি আমি ক্লিয়ার জানি না। বিস্তারিত জেনে আপনাকে জানাব।