বুধবার , ২৫ অক্টোবর ২০২৩ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

বান্দরবানে বিয়ের চাঁদা নিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষে বরসহ ১৭জন আহত

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান
অক্টোবর ২৫, ২০২৩ ১১:২৮ অপরাহ্ণ

বান্দরবানে লামা উপজেলায় বিয়ে বাড়িতে সামাজিক চাঁদা নিয়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় তবরসহ ১৭ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড পূর্ব শিলেরতুয়া গ্রামে কনের বাড়িতে এই ঘটনাটি হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশের টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহতরা হলেন- বর নাজমুল হোসেন (২১), কনের বাবা মোঃ হাসান (৫০), মা সালমা বেগম (৪০), সর্দার আব্দুল মন্নান (৪৮), এলাকার মুরুব্বি মোঃ রফিক (৪২), সাইফুল ইসলাম (৫২), বর পক্ষের মোঃ বাদশা মিয়া (২৫), মোঃ রবিউল (১৭), ঈমাম মেহেদী (১৮), মোঃ এরফান (২২), ইমরান (১৮), মোজাম্মেল (২১), সাঈম (১৭) মনি আক্তার (৫০), রেজিয়া বেগম (৬৫) ও পূর্ব শিলেরতুয়া এলাকার মোঃ ইউসুফ (৩০), মোঃ আবু দাউদ (৪০)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লামায় নাজুমল ইসলামের সাথে মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার (১৮) বিবাহ ঠিক হয়। পূর্ব শিলেরতুয়া এলাকায় কনের নানার বাড়ীতে আনুষ্ঠানিকতা মাধ্যমে বরের কাছে মেয়েকে তুলে দেন। এসময় এলাকার সর্দার সাথে মেয়ে পক্ষে মাঝে সামাজিক চাদা টাকা নিয়ে কথা- কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শুরু হয় ত্রিমুখী সংঘর্ষ। এই ঘটনায় ১৭ জন গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন।

কনের মা সালমা বেগম বলেন, এলাকার সবাই ডাকাত। এলাকার সবাইকে দাওয়াত দিতে পারি নাই বলে এই ঘটনা ঘটেছে।

গুরুতর আহত মোঃ রফিক বলেন, সমাজের চাঁদা নিয়ে কথা হচ্ছিল। সামান্য বিষয় নিয়ে বর পক্ষের লোকজন বড় ভাই সর্দারের গায়ে হাত তোলে। এরপর সংঘর্ষ শুরু হয়।

পূর্ব শিলেরতুয়া সমাজের সর্দার আব্দুল মন্নান বলেন, আমি সমাজের সর্দার। আমি ছাড়া অন্য কেউ কিভাবে সমাজের চাঁদা ঠিক করে। পরে কথাবার্তার কাটাকাটি হলে বর ও কনে পক্ষের কয়েকজন আমার গায়ে হাত তোলেন।

লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ শামীম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে থানায় নিয়ে এসেছি। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন থানায় মামলা করলে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে। তবুও এই বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

%d bloggers like this: