কাশ্মীরের ডাল লেকে হাউজবোটে আগুন লেগে রাঙামাটির গণপূর্ত প্রকৌশলী অনিন্দ্য কৌশলসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত অন্যরা হলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমন দাশ গুপ্ত, অন্যজন দুজনের কাছের বন্ধু আসিফ মঈন উদ্দিন। ইমন দাশ গুপ্ত রাঙামাটি সিভিল সার্জন নিহার রঞ্জন নন্দীর ভাগনি জামাই।
অনিন্দ্য কৌশলের বাড়ি চট্টগ্রামের মিসরাইয়ে। ইমন দাশ গুপ্তের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় বিনাজুরীতে। আসিফ মঈন উদ্দিনের বাড়িও রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে ডাল লেকের নয় নম্বর ঘাটের কাছে আগুনের সূত্রপাত হয়।
প্রথমে একটি হাউজবোটে আগুন লাগে এবং পরে তা পাশে নোঙ্গর করে রাখা আরো চারটি হাউজবোটে ছড়িয়ে পড়ে।
রয়টার্স লিখেছে, পুড়ে যাওয়া পাঁচটি হাউজবোটের মধ্যে একটিতে তিন বাংলাদেশি পর্যটক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় আরো সাতজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় পুলিশের এক বিবৃতির বরাতে ইনডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছেন, নিহত তিন বাংলাদেশির নাম অনিন্দ্য কৌশল, দাশ গুপ্ত এবং মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন। তারা সাফীনা নামের একটি হাউজ বোটে ছিলেন।
তাদের পরিচয় পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ নমুন সংগ্রহ করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
গণপূর্তের রাঙামাটি কার্যালয়ের উপ সহকারী প্রকৌশলী জয় বড়ুয়া বলেন, “স্যার (অনিন্দ্য কৌশল) গত ৩ নভেম্বর ভারতে গেছেন। তিনি এ সফরে ভ্রমণের পাশাপাশি ভারতে ডাক্তার দেখানোর কথা ছিল।এছাড়া আজমীর শরীফ যাওয়ার কথা। সেখান থেকে কাজ শেষে কাশ্মীরে যাচ্ছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন। ঘটনা শুনে খুব খারাপ লাগছে। এত দিনের সম্পর্ক হঠাৎ স্যারের এমন সংবাদ শুনে আমরা গণপূর্ত বিভাগের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী শোকাহত।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান বলেন, “ অনিন্দ্য কৌশল খুবই ভালো মানুষ। খবর শুনে খুব খারাপ লাগছে। আমি খবর নিচ্ছি।”
রয়টার্স লিখেছে, প্রাথমিক তদন্তে ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক তার থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার কথা জানিয়েছেন কাশ্মিরের কর্মকর্তারা।
কাশ্মীর বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের কাছে বরাবরই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে শ্রীনগরের ডাল লেক। বহু পর্যটক ডাল লেকে হাউজবোটে থেকে লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করেন।