রোজার শেষ মুহূর্তে এসে রাঙামাটির ঈদ বাজার ও শপিংমল গুলোতে কেনাকাটার ভীড় জমেছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে ঘিরে ছোট বড় সবার মধ্যে স্বাদ বা ইচ্ছে জাগে নতুন কাপড়-ছোপড় পড়তে। ধনী-গরীব সবাই তাদের স্বজনদের নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে অনেকেই ইট পথরের শহরে ছেড়ে নাড়ীর টানে গ্রামে ছুটে এসেছে। শনিবার সন্ধ্যায় শহরের বনরুপা বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদ বাজার ও শপিংমল এবং রিজার্ভ বাজার ঈদের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় প্রচুর ক্রেতার সমাগম গঠতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শহরের বাণিজ্যি কেন্দ্র বনরুপা ও রিজার্ব বাজার ঈদের কেনাকাটায় নারী পুরুষের ভীড়। তবে ঈদের কেনাকাটায় পুরুষের চেয়ে নারী ও শিশুদের উপস্থিতি বেশী দেখা গেছে। কেউ আসছেন নিজের জন্য জামা কাপড় নিতে আবার কেউ এসেছেন মা-বাবা, ছেলে সন্তানের জন্য কাপড় ছোপড় কিনতে। আবার কেউ এসেছেন তাদের পছন্দের মানুষের জন্য পাঞ্জাবি টি শার্ট কিনতে। তবে গত বছরের চেয়ে এবছর সকল প্রকার কাপড় ছোপড়ের দাম অনেক কম। তাই মধ্যবিত্তের মানুষ তাদের চাহিদা মোতাবেক কেনাকাটা করতে পারছেন।
ক্রেতা প্রবাসী পারভেজ আলী বলেন, গত ঈদে কাপড় ছোপড়ের দাম অনেক বেশি ছিল। এবার দাম অনেকটা কম। তাই ঈদের কেনাকাটায় কোন রকমের জায়-ঝামেলা পোহাতে হয় না। পরিবার পরিস্বজনের জন্য কম দামে কাপড় ছোপড় কিনতে পেরে আমি আনন্দিত। আমার মনে হয় এবার মধ্যবিত্ত ও গরীব পরিবারগুলো তাদের ছেলে মেয়েদের জন্য চাহিদা মত কেনাকাটা করতে পেরেছে।
ব্যবসায়ি মোজাম্মেল ও শাহনেওয়াজ সানু বলেন, গতবারের চেয়ে এবছর আমাদের ব্যবসা অনেকটা ভাল হচ্ছে। কাপড় ছোপড়ের দাম একটু কম হওয়াতে ক্রেতারা তাদের পছন্দ মত কেনাকাটা করতে পারছে। বাজারে বাড়তি কোন প্রকার চাপ নাই এবং এবার সিন্ডিকেট ও নাই। এই ঈদে সন্তোষজনক ভাবে কাপড় ছোপড় বিক্রি করতে পেরে আমরা অনেক খুশি।
এদিকে ঈদ বাজার মনিটরিং করতে রাঙামাটির জেলা প্রশাসন ও পুলিশ তৎপর রয়েছে। এই ঈদে যেন কোন ব্যবসায়ি দরকষিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি দামে কাপড় ছোপড় বিক্রয় করতে না পারে সে ব্যাপারে ব্যবসায়িদের হুশিয়ারি করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা পুলিশ জনসাধারণকে নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে এই ঈদে কাচা তরিতরকারি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার।
জেলা প্রশাসনের মার্কেটিং সিনিয়র অফিসার মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, বাজারে সব কিছুর দাম স্বাভাবিক রয়েছে। ঈদ ও বিজুকে সামনে রেখে শষা, লেবু, তরমুজ, নারিকেল, মসল্লা জাতীয় সব কিছুর দাম একটু বেড়েছে।বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ত আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বয়লার ও দেশি মুরগির দাম একটু বেড়েছে।