পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা বলেছেন আদিবাসী বিবাহ সনদপত্র কেমন হবে তা তিন সার্কেল ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং আঞ্চলিক পরিষদ যেৌথ সমন্বয়ে কাজ করতে হবে। সার্কেলগুলোর সমন্বয় না হলে বিভ্রান্তি তৈরি হবে।
শনিবার সকালে রাঙামাটি শহরের নিউমার্কেট আশিকা কনভেনশন পার্ক হল রুমে প্রোগ্রেসিভ, এমজেএফ, একেএস, গ্লোবাল এফেয়ার্স কানাডা আয়োজনে বান্দরবানের বোমাং সাকেলের বিবাহ নিবন্ধন সনদ প্রনয়ন নিয়ে তিন পার্বত্য জেলার বিশিষ্ট জনদের কাছ থেকে মতামত গ্রহণ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা।
সন্তু লারমা আরো বলেন,পুরুষের পাশাপাশি সমমর্যাদা ও অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকতে হলে আদিবাসী নারীদের আরো সচেতন হতে হবে। আগামীতে তারা মর্যাদা নিয়ে বেচেঁ থাকতে পারবেন কিনা সেটা নিয়ে পাহাড়ের নারীদের ভাবা দরকার। শুধু আত্মকেন্দ্রীক হলে হবে না। মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকতে হলে সচেতন হতে হবে। কাজ করতে হবে।
পাহাড়ের নারী সমাজে অসংখ্য নারী উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হলেও প্রকৃতপক্ষে সামাজিক শিক্ষায় তারা শিক্ষিত নয়। তারা শুধু নিজস্ব জীবনের জন্য একটা কর্মসংস্থান করার আগ্রহী হচ্ছে। যার কারণে পাহাড়ের নারীরা নীতি আর্দশের ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। নারী সমাজকে সবচেয়ে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক,অসাম্প্রদায়িক নীতি আর্দশ নির্ধারণ করার জন্য উন্নয়ন মূলক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নারীদের নেতৃত্ব দেওয়ায় বিষয়গুলোকে প্রধান্য দেওয়া উচিৎ।
তিনি আরো বলেন, পাহাড়ের জুম্মো জনগণের বিভিন্ন জাতি গুলো আজ হারিয়ে যাচ্ছে। পায়ের নিচে পা রাখার বাস্তু ভিটা না থাকায় পা রাখার আমাদের ভূমি নাই। আমাদের বাধ্য করা হচ্ছে আমাদের অধিকার সর্ম্পকে ভুলে যেতে এবং অন্যের সমাজের ব্যবস্থাপনার অধীনে আমাদের নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র অব্যাহত ভাবে চলে এসেছে যার পরিণতি সংকটে পৌঁছে গেছে।
এ সময় সভায় অনন্যা কল্যাণ সংগঠন(একেএস) নির্বাহী পরিচালক ডনাই প্রু নেলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে, এড. সুষ্মিতা চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক সভাপতি এড. ভবতোষ দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক শান্তি বিজয় চাকমা, প্রোগ্রেসিভের নির্বাহী পরিচালক সুচরিতা চাকমা,সিএইচট উইমেন্স অ্যাকটিভিস্ট এর সদস্য নুকু চাকমা ও হেডম্যান,কার্বারীবর্গ উপস্থিত ছিলেন।