রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার ৩ নং বুড়িঘাট ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ১নং টিলার মোঃ রিপন(১৫), মোঃ শাকিল(১৩) ও মারুফ(১৩) কে গরু চোর সন্দেহে বেধম মারধর অভিযোগ উঠেছে বুড়িঘাট ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মিজানের বিরুদ্ধে ।
গত বুধবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে বুড়িঘাট ১নং টিলা ছগিরের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গরু চোর সন্দেহে মিজান মেম্বার তিনজনকে ডেকে নিয়ে মধ্য যুগীয় কায়দায় মারধর করে। এতে শাকিল নামের কিশোরের একটি হাত ভেঙ্গে দেয় ও মাথার ঘাড় মটকে দেয়।
ভুক্তভোগী শাকিল ও রিপন জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজান এলাকায় গরু চোর সন্দেহে আমাদেরকে ডেকে নিয়ে কোন কথাবার্তা ছাড়াই মারধর করে। এব্যাপারে আমরা নানিয়ারচর থানায় আইনী সহায়তা চাইতে গেলে থানা থেকে বলে দেওয়া হয় নির্বাচনে এব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি।
রিপনের মা রিনা বেগম জানান প্রথমে আমার ছোট ছেলেকে রাঙামাটি থেকে ধরে নিয়ে এসে জোরপূর্বক আমার বড় ছেলের নাম বলায়।
আমার কথা হলো যদি চোর হয় তাহলে তাদেরকে থানায় দেবে না হয় মামলা করবে। কিন্তু আইন হাতে তুলে নিয়ে কেন আমার ছেলেদের মারধর করলো মেম্বার এই বিচার চাই আমি।
জানাগেছে, ওই এলাকায় স্বপন ও মিলনের ২টি গরু হারায়।পরে ওই গরু ২টি সুবলং বাজারে পাওয়া গেছে। তবে তারা গরু চুরি করছে এমন কোন প্রমানাদি কেউ দিতে পারেনি।
মিলন বলে গরু চোর ধরে মিজান মেম্বারের কাছে দিয়েছি মেম্বার চোরদের কি করছে তা আমি জানিনা।
এব্যাপারে জানতে মিজান মেম্বারকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
নানিয়ারচর থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, এব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। চোর ধরা পড়লে তো থানায় সোপর্দ করার কথা।