সোমবার , ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

প্রাণ রক্ষার্থে মিয়ানমারের ৯৫ সীমান্তরক্ষী পালিয়ে এলেন বাংলাদেশে

প্রতিবেদক
কিকিউ মারমা, বান্দরবান।
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪ ১:৫১ অপরাহ্ণ

বিকট গুলি ও বোমার শব্দে ঘুমধুম তংমব্রু সীমান্তে আতঙ্কের ছাপ কাটচ্ছে না এলাকাবাসী। নির্ঘুম রাত কেটেছে সীমান্ত ঘেঁষা  ঘুমধুম ও তুমব্রুবাসী। তবে সকাল ৫টা থেকে গোলাগুলি বন্ধ হলেও ফের বেলা সাড়ে ১১টা দিকে সীমান্তের অদূরে মিয়ানমারের যুদ্ধ বিমান আকাশে চক্কর দিতে দেখা গেছে বলে স্থানীয়রা জানান।

স্থানীয়দের তথ্য মতে,  এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলি ওপার থেকে আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। এবং ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মায়ানমারের ওপারে থাকা মায়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনী  (বর্ডার গার্ড পুলিশ- বিজিপি) দের ক্যাম্প আরাকান আর্মিরা পুরোপুরি দখলে নিয়েছে।
এদিকে রাতভর মায়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে বলে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে নিশ্চিত করেছেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
এছাড়াও সীমান্ত পথ ব্যবহার করে আরো কয়েক শত বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্রে।
তাছাড়া এখনও পর্যন্ত সীমান্তে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের কাছে ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রোববার সকাল এসব বিদ্যালয়ে বন্ধ রাখা হয় বলে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা। তারমধ্যে সীমান্ত এলাকার বাইশ ফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় এবং মিশকাতুন নবী দাখিল মাদরাসা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এবং সীমান্তে ঘেঁষা ৩টি গ্রামের মানুষ জনশূন্য হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতরভাবে আহত হয়েছে ৩ জন বাংলাদেশি। আহতরা হলেন, কোনার পাড়ার বাসিন্দা প্রবীন্দ্র ধর (৫০)। পিতা জোতিষ্ট ধর, রহিমা বেগম ( ৪০) এবং শামশুল আলম।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, একশ বছরও হয়েছে বর্ডারে এরকম মানুষজন আছে, ভয়াবহ পরিস্থিতির কখনো দেখিনি। এখন আতঙ্কের আর নিরাপত্তা জন্য সীমান্তে ঘেঁষা লোকজন অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, সীমান্তে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছি। সীমান্ত ঘেঁষা গ্রামের লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে আমাদের আশ্রয় কেন্দ্র গুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ আতংকিত মানুষ তাদের অনেকেই আত্মীয়দের বাসায় চলে গিয়েছে বলে বিভিন্ন মধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।
প্রসঙ্গত মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে সে দেশের সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এ সংঘর্ষের জেরে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তেও উত্তেজনা চলছে। মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দখল করে নিয়েছে মিয়ানমারের তুমব্রু ক্যাম্পটি। এদিকে বর্তমানে সীমান্তজুড়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সীমান্তজুড়ে চলছে আতঙ্ক। মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: