রাঙামাটিতে অবৈধ ১০ অটোরিকশা ও ১ মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র বনরুপাস্থ পুলিশ বক্সের সামনে অবৈধ যানবাহন অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ এর দিকনির্দেশনায় এ অভিযান পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর) সার্কেল জাহেদুল ইসলাম ও জেলা ট্রাফিক পুলিশ ইনচার্জ পারভেজ আলী।
জেলা পুলিশ এবং জেলা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি শহরে অবৈধ অটোরিকশা ব্যাংঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে, যা নিয়ন্ত্রণের বাহিরে। ছোট্ট একটি শহরে ধারন ক্ষতার চেয়েও অটোরিকশা বেশী হয়েছে। যার মনে চায় সে সড়কে অটোরিকশা নামিয়ে বিআরটি এর কাগজপত্র বিহীন অবৈধ ভাবে গাড়ি চালাচ্ছে। পর্যটন শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করে দিচ্ছে। গাড়ি একটি কিনে পিছনে লিখে দিয়েছে রাঙামাটি থ-১১ এ নাম্বার পেল কোথায় তারা।
অটোরিকশা যাত্রীরা বলেন, রাঙামাটি শহরে মানুষের চেয়েও অটোরিকশা বেশি হয়েছে। প্রতিদিনই অটোরিকশা চালকদের সাথে যাত্রীদের সাথে ঝামেলা বাধে। বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান এক থেকে দেড় হাজার অটোরিকশার নাম্বার দেওয়ার পরও দেড় থেকে দুইশ’ অনটেষ্ট অটোরিকশা রাস্তায় দেখা যাচ্ছে। রাঙামাটি শহরে কত গুলো অটোরিকশা আছে বা কতজন অটোরিকশার চালক আছে তার সঠিক কোন পরিসংখ্যা নেই বিআরটিএর কাছে।
জব্দকৃত অবৈধ অটোরিকশা চালক মহরম আলী বলেন,সে বৈধ ভাবে শো-রুম থেকে ট্র্যাক্স ভ্যাট দিয়ে গাড়ি ক্রয় করেছে। ব্যাংকে টাকা ও জমা দিয়েছে। ব্যাংকে টাকা জমার রশিদ গাড়ির সামনে ঝুলানো আছে তাহলে আমার গাড়ি চলতে পারবে না কেন। তবে অটোরিকশা সিন্ডিকেট এর কথা শিকার করেনি তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর) সার্কেল জাহেদুল ইসলাম বলেন,মঙ্গলবার সকালে শহরের বনরুপাস্থ পুলিশ বক্সের সামনে অবৈধ যানবাহন অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ১০টি অটোরিকশা ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। এসব যানবাহন বৈধ কোন কাগজপত্রাদি দেখাতে পারেনি। তাই তাদের বিরুদ্ধে মোটরযান আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব অবৈধ গাড়ি আজ বুধবার সকালে কোর্টে চালান দেওয়া হবে।