রাঙামাটিতে উদ্ভাবনায় বন সম্ভাবনায় বন এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক বন দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফরেষ্ট কলোনী থেকে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বন সংরক্ষকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ করা হয়।
দিবসটির শুরুতে বন বিভাগ রাঙামাটি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় র্যালী ও বৃক্ষ রোপনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক বন দিবস অনুষ্ঠান শুরু করে। সকাল ১১ টায় বন সংরক্ষক রাঙামাটি অঞ্চলের সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক বন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ফরেষ্ট কলোনী থেকে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বন সংরক্ষকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
জুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ডঃ জাহিদুর রহমান মিয়া সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি বন অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ । এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা ইউএহএফ বিভাগ রাঙামাটি ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা আন্তর্জাতিক বন দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বলেন মূলত মানুষকে গাছের গুরুত্ব বুঝাতে দিবসটি পালিত হয়। এর মধ্যে বৃক্ষরোপণ অন্তর্ভুক্ত। জলবায়ু পরিবর্তনে আশ^নি বিপদ থেকে রক্ষা করতে বনের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গাছ থাকলে নিরাপদ থাকবে পরিবেশ,অক্সিজেন বৃদ্ধির পাশা-পাশি সবুজ বন পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই প্রত্যেকেরই উচিত নিজ নিজ স্থান থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে বেশি বেশি গাছ লাগানো। দিবসটি সামনে রেখে বন বিভাগ রাঙামাটি বিভিন্ন অনুষ্ঠান র্যালি ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেন।
উল্লেখ্য যে, বন ও বনভূমি নিরাপত্তা স্বার্থে ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় একুশে মার্চকে আন্তর্জাতিক বন দিবস ঘোষণা করা হয় সেই থেকে সারা বিশ্বে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।