বিএনপির রাঙামাটি জেলা সভাপতি শাহ আলমের জানাজার নামাজ রাঙামাটি জেলা দায়রা জজ আদালত মাঠে অনুষ্ঠিত হয় হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টায় এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজারো মানুষ অংশ নেয়। মাঠে সবার দাঁড়ানোর স্থান সংকুলান না হওয়ায় একই মাঠে দ্বিতীয়বার জানা অনুষ্ঠিত হয়।
তাঁর জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, সাবেক উপমন্ত্রী মনি স্বপন দেওয়ান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হাজি কামাল উদ্দিন, বিএনপিব কেন্দ্রীয নেতা অ্যাডভোকেট দীপেন দেওযান, জেলা বিএনপি,জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা জাপাসহ অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জানাজা শেষে শাহ আলমের মরদেহ বনরূপা কবরস্থানে দাফন করা হয়।
শাহ আলম কয়েক মাস ধরে ব্রেন টিউমার রোগে ভুগছিলেন। পরে এটি ক্যান্সারে রূপ নেয়। সম্প্রতি ভারতের চেন্নাইয়ে গিয়ে অপারেশন করান। সফল অপারেশন শেষে দেশে ফিরে চট্টগ্রামের চকবাজারে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে অসুস্থবোধ করলে শাহ আলমকে সিএসসিআরে নিয়ে যান তাঁর স্বজনরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ১১ টায় তাঁর মৃত্যু হয়।
পরে শাহ আলমের মরদেহ চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটির কাঠালতলি আলম ডক ইয়ার্ডে শাহ আলমের নিজ বাড়িতে আনা হয়।
শাহ আলমের মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা শোক জানিয়েছেন।
শাহ আলমের ২ ছেলে এক মেয়ে। বড় ছেলে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে একটি প্রকল্পে চাকুরী করছেন।
শাহ আলম কয়েক যুগ ধরে বিএনপির রাজনীতি করছেন। তিনি সর্বশেষ পর পর দুবার বিএনপির জেলা সভাপতি নির্বাচিত হন।
এর আগে তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শাহ আলমের পিতৃ বাড়ি রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে। ১৯৬১ সালে বাঘাইছড়িতে জন্ম হয় শাহ আলমের।