‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না? ভূপেন হাজারিকার লেখা ও জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পি মান্না দের কণ্ঠে গাওয়া গানটি অনেকের কণ্ঠে শোনা গেলেও আসলে বাস্তবে আমরা কে কতটা মানুষের জন্য মানব সেবায় কাজ করতে পেরেছি এমন প্রশ্ন থেকেই যায়।
গায়কের কণ্ঠে গাওয়া এই গানটির বাস্তব রুপ দিয়েছে
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার প্রত্যান্ত পল্লী পোকখালী ইউপির পশ্চিম গোমাতলী গ্রামের সন্তান শামসুল আলম। তিনি পেশায় প্রবাসী ব্যবসায়ী। বাবা মৃত আবদুল করিম। ৩ কন্যা ২ পুত্র সন্তানের জনক তিনি। ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে এসএসসি ও কলেজ থেকে পাড়ি জমান সৌদি আরবে। ছোটবেলা থেকেই শামসুল আলম ছিলেন নম্র-ভদ্র, বিনয়ী একজন মানুষ। পেশাগত কাজের ফাঁকে একটু সময় পেলেই তিনি আত্নমানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন।
তিনি তার রোজগারের অর্ধেক ততা একাংশ অর্থ বিলিয়ে দেন অনাহারী অর্থহীন গরীব দুঃখী অসহায় হতদরিদ্র এতিম ভিখারি পথশিশুদের মাঝে। তিনি এ পর্যন্ত একাধারে বিনা স্বার্থে এলাকার সমাজের নিরীহ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সর্বদাই বিনয়ের সাথে সেবা প্রধান করে আসছেন। এলাকার মানুষের সেবাদান করার জন্য শামসুল আলম মানবিক ফাউন্ডেশন নামে একটি মানবিক সামাজিক কল্যাণকর সেবামূলক সংগঠন গড়ে তোলেন তিনি।
তাছাড়া যে সকল প্রবাসী প্রবাসে কাজ না থাকায় খাওয়া ও রুম ভাড়া দিতে সমস্যায় পড়ছেন তাদেরকে তিনি গোপনে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তিনি দুনিয়াবি কোন স্বার্থের জন্য নয়, একমাত্র মালিকের সন্তুষ্টির জন্য, মহান প্রভুর নৈকট্য লাভের আশায় সেবা প্রধান করে থাকেন। তিনি একজন মানবিক সমাজসেবক। যার কারনে সৎ, সহজ, সরল, স্বভাবের নিরহংকারী ন্যায়নীতিবান পরোপকারী মানুষের ভালবাসার শ্রদ্ধার পাত্র।
ফাউন্ডেশনের ঈদগাঁও উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ শাহজান বলেন, প্রবাসী শামসুল আলম বাস্তবে মানবতার ফেরিওয়ালা ও মানবিক মানুষ। যার উছিলায় হতদরিদ্র পরিবারের মুখে হাসিফুটে। বর্তমানে তিনি উপজেলার অসহায় হতদরিদ্র, অর্থহীন অভাবী অনাহারী মানুষের সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। গেলবার উপজেলা নির্বাচন করে তিনি সাধারণ মানুষের অকুন্ঠ সমর্থন পেয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন সমাজসেবক মানবিক সৎ ও সহজ সরল নিশ্বার্থ ব্যাক্তি। আমরা তাঁর মতো দানশীল ব্যক্তি দেখিনি। সম্প্রতি তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা লেখা হচ্ছে তা অনভিপ্রেত। এরপরও তিনি ঈদগাঁও উপজেলাবাসীর পাশে আছেন এবং থাকবেন সকলের মনিকোঠায়।
প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন বলেন, সামশুল আলম ক্ষমতার অপব্যাবহার করে কিংবা সরকারের বরাদ্দের টাকায় রাজনীতি করেনি। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, পঙ্গু ভাতা কিংবা সরকারি টিআর বা কাবিখা কিংবা বিচারের নামে টাকা জমা নিয়ে রাজনীতি করে তিনি সেবক হননি। যতটুকু সম্ভব নিজের অর্থ দিয়ে ঈদগাঁও উপজেলার মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন এবং উপজেলার সাধারণ জনতার হৃদয়ে স্থান পেয়েছেন। যতই মিথ্যা ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হোক না কেন, দলমত নির্বিশেষে উপজেলার সাধারন মানুষ থেকে তাকে আলাদা করা যাবেনা।
মাওলানা ইয়াছিন হাবিব বলেন, আমার জানামতে তিনি একজন সৎ-ন্যায়নীতিবান ও নিরহংকারী মানুষ। তিনি যখনি কোন এতীম অসহায় হতদরিদ্র গরীব দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ান তখন তিনি নিঃস্বার্থভাবে সহযোগিতা করে থাকেন। তিনি একমাত্র মালিকের নৈকট্য লাভের জন্য দান করেন। তিনি অনেকদিন ধরে অসহায় হতদরিদ্র দুঃখী মানুষ, মসজিদ মাদ্রাসা এবং কবরস্থান সহ দ্বীনি সকল কাজেই সবচেয়ে বেশি ভুমিকা রাখেন। দোয়া করি আল্লাহ তাআলা যেন সবসময়ই তাকে নেক হায়াত ও সুস্থ রাখেন, আর মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সর্বদাই সেবা করতে পারেন।
মানবতার কান্ডারী, রেমিট্যান্স যুদ্ধা সৌদি আরব প্রবাসী শামসুল আলম বলেন, আমার খুব ভাল লাগে এসব মানুষের সেবা করতে পেরে। যারা আমার কাছে আসে, আমি তাদেরকে হতাশ করি না। সাধ্যমতো সাহায্যে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। এতে আমার আত্না প্রশান্তি লাভ করে। মুলতঃ আমি দান সদকা-সাহায্য সহযোগিতা করে শান্তি পাই। ভবিষ্যতে ঈদগাঁও উপজেলার গরীব অসহায় মানুষের জন্য একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান করতে সকলের সহযোগিতা চাই, ইনশাআল্লাহ।