লংগদুতে তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশের দাবিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার বিকালে মাইনীমূখ বাজারস্থ নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন, লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মীর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ঝান্টু মাষ্টার।
প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা তিন জন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছি। আমার জনপ্রিয়তা ও ভোটের জোয়ার দেখে আমার বিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও (আনারস প্রতীক) বাবুল দাশ বাবু’র পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় শীর্ষ নেতারা সরাসরি ভোট চেয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ মাইনীমূখ বাজারে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্ত দিবস নাম করে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল দাশ বাবুর পক্ষে বক্তব্য রাখেন নেতারা। এ বৈরি আচার-আচরণের জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সড়ক ও সেতুমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করি বিষয়টি যেন বিবেচনার চোখে দেখা হউক।
তিনি সংবাদ সম্মেলন অভিযোগ করে বলেন, বাবুল দাশ বাবু আমার কর্মীদের প্রকাশ্যে হুমকি ধমকি দিচ্ছে এবং দলের সিদ্বান্তের বাহিরে গেছে দল থেকে বাহির করে দেওয়ার হুকমি দেওয়া হয়। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে আমি ১০ হাজার ভোট বেশী পেয়ে জয়যুক্ত করবো। প্রশাসনের কাছে আমার দাবি আপনার সুষ্ঠু ভোটে ব্যবস্থা করে দেন। নির্বাচনের বাকি আরো ৫-৬ দিন এখন থেকেই বাবুর লোকজন আমার কর্মীদের হুমকি ধমকি দিচ্ছে এমন কি মারধর করার অভিযোগ রয়েছে।
প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম অভিযোগে করে বলেন, রাঙামাটি আওয়ামী লীগের জন্য কি দলীয় এক নিয়ম আর সারা দেশের জন্য কি আরেক নিয়ম? রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মুছা মাতব্বর, যুবলীগ সভাপতি ও মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীরসহ দলীয় সবাই শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে। আমি এই অনিয়ম দুর্নীতি বিরুদ্ধ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপরে ছেড়ে দিলাম। রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের এ বিচার আপনি করবেন।
তিনি আরো বলেন,বাবুল দাশ বাবু আমাদের জনপ্রিয়তা দেখে দিশেহারা হয়ে আবল তাবল বলছে। আমার প্রতিপক্ষের এক নায়কতন্ত্র লংগদু উপজেলাবাসী আর দেখতে চায় না। সাধারণ মানুষ ভোটের মাধ্যমে বাবুল দাশ বাবুর অন্যায় অত্যাচারের জবাবরদিতে চায়।