সোমবার , ১০ জুন ২০২৪ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

চীনে নেয়ার প্রলোভনে মানবপাচার চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার, ৫ জন উদ্ধার

প্রতিবেদক
বিশেষ প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি
জুন ১০, ২০২৪ ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ

মানব পাচারের অভিযোগে এক চীনা নাগরিকসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে খাগড়াছড়ি পুলিশ। রাজধানী ঢাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের বিশেষ একটি দল। রোববার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, বিদেশে উচ্চ মূল্যে বেতন ও সুবিধার কথা বলে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে তরুণ-তরুণীদের চীনে পাচার করতো এ চক্র। ২ জুন পানছড়ি থানায় পৃথক দুটি জিডির সূত্র ধরে অনুসন্ধানে নেমে রাজধানী ঢাকা থেকে পৃথক অভিযানে চক্রের মূলহোতা হেলি চাকমা ওরফে সুমি ও তার স্বামী জিসাও সুহুইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ দিকে, রোববার বিকেল ৪ টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে নানা প্রলোভনে চীনে পাচারের উদ্দেশে তরুণ-তরুণীদের সংগ্রহ করছিল হেলি চাকমা। ২ জুন দুই বান্ধবী নিখোঁজের ঘটনায় সাধারণ ডায়েরী হওয়ার পর প্রযুক্তির ব্যবহার করে শনিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা ১২ নং সেক্টরের একটি ফ্ল্যাট থেকে দুইজন সহ ৫ ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় চীনা নাগরিক পাচার চক্রের মূলহোতা জিসাও সুহুইকে গ্রেফতার করা হয়। চক্রের অপর হোতা হেলি চাকমা ওরফে সুমি এ সময় পালিয়ে যায়। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা থেকে তাকেও গ্রেফতার করে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ।

পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল আজম জানান, রোববার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে উদ্ধার হওয়া ৫ ভিকটিমের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী জিসাও সুহুই এর জবানবন্দী গ্রহণ শেষে তাকে খাগড়াছড়ি কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিম নিরাশা চাকমা ও ভেলেন্টিনা চাকমাকে পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। অপর তিনজন আসিফ চাকমা, সাঙ্গাময় তঞ্চঙ্গ্যা ও মুন্নি তঞ্চঙ্গ্যার বাড়ি রাঙ্গামাটি জেলায় হওয়ায় তাদের রাঙ্গামাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ির আদালতে জবানবন্দী দেয়া শেষে নিরাশা চাকমা সাংবাদিকদের জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেলি চাকমার সাথে যোগাযোগ হয়। চ্যাটিংয়ে চীনে উচ্চ বেতনের চাকরীর সুযোগ করে দেয়ার কথা বলে তাদের ঢাকা যেতে বলেন। ঢাকায় যাওয়ার জন্য ৫ হাজার টাকাও বিকাশ করেন। ঢাকা যাওয়ার পর ফোন কেড়ে নেয় এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। কৌশলে বড় বোনকে বিষয়টি জানালে পুলিশের সহায়তা তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।

দীর্ঘ দিন ধরে খাগড়াছড়ি থেকে নানা প্রলোভনে তরুণ-তরুণীদের চীনে পাচার করছে একাধিক চক্র। চীনে নেয়ার পর তাদের অনেকের ভাগ্যে কাঙ্ক্ষিত চাকরী পরিবর্তে ছুটছে নির্যাতন।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত
%d bloggers like this: