বান্দরবানে রুমা-থানচি ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনার পর যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে রুমা উপজেলা থেকে পাহাড়ে গজিয়ে ওঠা সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্দেহভাজন আরও চারজন সহযোগিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আইনশৃঙ্খলার বাহিনী কঠোর পাহারায় বান্দরবান সদর থানা থেকে প্রিজন ভ্যানে করে বান্দরবান চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কেএনএফ এর সন্দেহভাজন সদস্য রুমা উপজেলার বাসিন্দা ময়থাং বম , জৌথান বম, থমাস এডিসন বম এবং লাল রনইহ সাং বম।
সুত্রে জানা যায়, রোববার (৯ জুন) বিকেলে তাদের (কেএনএফ) সন্দেহভাজন চারজনকে রুমা সদরের ১নং পাইন্দু ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড এর জুরভারং পাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। এরপর আজ সোমবার দুপুরে বান্দরবান চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হোসাইন আসামীদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রুমা থানায় দায়ের করা মামলায় ৪ জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেছেন।
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য যে গত চলতি বছরে ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমা সোনালী ব্যাংকে এবং পরে ৩ এপ্রিল দুপুরে থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, হামলা ও টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরে আসামীদের ধরতে বান্দরবানে শুরু হয় যৌথবাহিনীর অভিযান আর এই অভিযানে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসারের সাথে সাথে অংশ নিচ্ছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে ঘটনার পর বান্দরবানের রুমা থানায় ১৩টি, থানচি থানায় ৪টি, বান্দরবান সদর থানায় ১টি এবং রোয়াংছড়ি থানায় ৩টি সহ সর্বমোট ২১টি মামলা দায়ের হয় আর চলমান এই অভিযানে এ পর্যন্ত কেএনএফের নারীসহ ৯৬জন সদস্য ও সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী।