রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেছেন, সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী শক্তি আমাদের অভিন্ন শত্রু। এই শত্রু বিএনপি জামাতের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। আমাদের আজকে শপথ নিতে হবে এই অভিন্ন শক্তিকে পরাজিত করতে হবে। আমাদের বিজয়কে আমরা সুসংহত করবো।
তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার অর্জন বাংলাদেশের জন্য সারা পৃথিবীতে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় রচনা করেছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বব্যাংককে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন আমরাও পারি। শুধু পদ্মা সেতু নয় উন্নয়নের জোয়ারে পুরো দেশের চেহারা পাল্টিয়ে দিয়েছে। দেশকে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কিন্তু একটি কুচুক্রি মহল দেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি এসব কুচুক্রিমহলের অপতৎপরতাকে জবাব দিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
ববিবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বা প্লাটিনাম জয়ন্তীতে কাউখালী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ক্যজাই মারমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ নেতা অংচা প্রæ মারমা, এসএম চৌধুরী, কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এরশাদ সরকার, কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সামশু দ্দোহা চৌধুরী, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুর রহমান, কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি বেলাল উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা রনজন মনি চাকমা, ক্যচি মং মারমা, আলী হায়দার, ইমাম উদ্দিন, মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী শাহনাজ আক্তার, স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা আজিজুর রহমান, কাউখালী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অভিং চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, কাউখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তুশি প্রæ মারমা, সাধারন সম্পাদক শাহিন আলম প্রমুখ।
আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেছেন, শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে আওয়ামলীলীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বিধায় গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনরুত্থান হয়েছে। গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। আওয়ামী লীগ এই দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীনতম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।
বক্তারা বলেছেন আওয়ামলীলীগ যখন ক্ষমতায় ছিলনা একুশ বছর ধরে আমরা অন্ধকারে ছিলাম। একুশ বছর ধরে আমাদের গণতন্ত্র ছিল নির্বাসনে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। বিজয় ও স্বাধীনতা দিবসে বাদ দিয়ে বিজয়ের নায়ক, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে উদযাপন করা হতো। এসব অপতৎপরতা এদেশের মানুষ কোন দি ভুলবেনা।
এর আগে সকালে কাউখালী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পনের মধ্য দিয়ে দিবসের শুভ সুচনা করা হয়। এছাড়া দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিকেলে বন্যার্ঢ্য এক র্যালী উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে কাউখালী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।