গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসের সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়ায় কাউখালীতে জরুরি সভা করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। সভায় উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত ২৬টি এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহিৃত করে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৩৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
এছাড়া পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হ্যাপী দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সহকারী কমিশনার(ভুমি) মাসুমা আক্তার কণা,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমকতা মোঃ ফজলুল হক,কলমপতি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যজাই মারমা,ঘাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন,কাউখালী উপজেলা ইউসিসিলিঃ এর চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিনসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ, রেড ক্রিসেন্টে সোসাইটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস এবং টানা বৃষ্টি হলে কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের সম্ভাবনা তৈরী হয়। যার ফলে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এছাড়া সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে এবং জনগণকে সচেতন করতে মাইকিং করার উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে।
সভায় উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত ২৬টি এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহিৃত করে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৩৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
বিশেষ করে ঘাগড়া ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডের, কলমপতি ইউনিয়নের সুগারমিল মাঝেরপাড়া, বেতবুনিয়া ইউনিয়ন ও দুর্গম ফটিকছড়ি ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকাে ঝুঁকিতে থাকায় তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে পাহাড় ধসে কাউখালী উপজেলাতে ২১ জনের প্রাণহানি ঘটে।