দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ কোটা সংস্কারের দাবিতে এবং ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নগ্ন হামলার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ এবং কাপ্তাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (বিএসপিআই) ক্যাম্পাসে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এদিন দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ও কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশ ও ছাত্রলীগ বাধা দিলে বিক্ষুব্দ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পালটাপালটি ধাওয়ায় রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা তৈরি হয়।
এতে ছাত্রলীগের হামলায় দীপ্ত দে নামে মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্র আহত হন। পুলিশ ও ছাত্রলীগের বাধার মুখে রাজপথে মিছিল নিয়ে যেতে না পারায় ক্যাম্পাসের ভেতরে বিক্ষোভ প্রদশন করেন এ মেডিকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের বর্বর ও ন্যাক্কারজনক হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
পরে রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, মেডিকেলে একটু উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এখন আর আপাতত তেমন কোনো ঝামেলা নেই।
অন্যদিকে এদিন সকাল ১০টার দিকে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের বিএসপিআই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠানটির বৈদ্যুতিক বিভাগের ষষ্ট সেমিষ্টারের শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদ ও মেকানিকেল বিভাগের ষষ্ট সেমিষ্টারের শিক্ষার্থী মো. জাহিদুল ইসলাম তামিমের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলে অধ্যায়নরত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
এ সময় ছাত্রলীগের ধাওয়ায় বিক্ষোভকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ৪ জন আহত হন বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চিফ ইন্সট্রাক্টর রহমত উল্ল্যাহ জানান, বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরের অবস্থান করছে। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।
এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দীন। তিনি জানান, বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন নিয়ে ক্যাম্পাসের বাইরে গেলে বহিরাগতদের সঙ্গে কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হয়। তখন আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসের ভেতরে বর্তমানে অবস্থান করছে।