রাঙামাটিতে থেমে থেমে মাঝারী ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এরমধ্যেই রাঙামাটি- চট্টগ্রাম সড়কের ১০টি স্হানে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়েছে। এছাড়া ৫ স্হানে ভাঙন ও ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক।এতে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যানবাহন ও যাত্রী। তবে সড়ক যোগাযোগ সচল রাখতে কাজ করছে তিন টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছে সড়ক বিভাগ।
গেল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে থেমে থেমে মাঝারী ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এরমধ্যেই রাঙামাটি- চট্টগ্রাম সড়কের বিভিন্ন স্হানে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়েছে। এরমধ্যে বেতারকেন্দ্র, আরশিনগর, মানিকছড়ি, দেপ্পোয়াছড়ি, শালবাগান, কলাবাগান এলাকায় এসব ধসের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ৫ স্হানে ভাঙন ও ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক।তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ অবস্থায় সড়কটিতে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে অসংখ্য যানবাহন ও যাত্রী।
এরআগে ২০১৭ সালের ১৩ জুন ভারী বর্ষণে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের শালবাগান সড়ক ধসে গিয়ে একটানা ৩৩ দিন সারা দেশের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রাঙামাটি। এসময় জ্বালানি সহ নিত্যপণের সরবরাহ বন্ধ হয়ে কয়েকগুন বেশি দামেওপণ্য মিলেনি। এছাড়া মানিকছড়িতে পাহাড়ধসে পাড়া সড়কের মাটি সরাতে গিয়ে ৫ সেনাসদস্য মাটিচাপা পড়ে মারাযান।
রাঙামাটি পর্যটন শহর হওয়ায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা দূরপাল্লার যানবাহনের সাথে দৈনিক কয়েকশ ছোটবড় যানবাহন চলাচল করে সড়কটি দিয়ে।কিন্তু টানা বৃষ্টিপাত হলে পাহাড়ধসের শংকায় পড়েন সড়কটি ব্যবহারকারীরা।এমনই কয়েকজন জানিয়েছেন তাদের শংকার কথা।
সিএনজি অটোরিক্সা চালক মো. বাবু বলেন, ‘গাড়ি চালাচ্ছি, কিন্তু মনে অনেক ভয়ভীতি কাজ করে। কখন না জানি রাস্তার ওপর পাহাড় ভেঙ্গে পড়ছে।এগুলো নিয়ে অনেক রিস্কে গাড়ি চালাচ্ছি’।আরেক চালক রোকেল চাকমা বলেন, ‘সারাদিনই বৃষ্টি পড়ছে, ভয় লাগে কখন পাহাড় ভেঙ্গে পড়ে’। মোটরসাইকেল চালক মো. রাজু বলেন, বৃষ্টি পড়ে পাহাড়ের মাটি সড়কে চলে আসে, তখন সড়ক পিচ্ছিল হয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ছে যানবাহন।
যাত্রীদের একজন খাইরুল আমিন বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই ভয় আর শংকা বাড়ে মানুষের।গাড়ির ওপর যদি পাহাড় ধসে পড়ে হতাহত হওয়ার ভয় আছে। এছাড়া সড়ক ধসে গেলে যানচলাচল বন্ধ হয়ে সারা দেশের সাথে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে’। আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রায় ১৪-১৫ কিলোমিটার পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে আমাদের যাইতে হয়।কখন ধস হবে এমন একটা আতংক অবশ্যই থাকে।এর একটা স্থায়ী সমাধান অবশ্যই বের করতে হবে’।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, টানা বৃষ্টিতে সড়কে ১০টি স্হানে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়েছে।এছাড়া ৫টি স্হানে ভাঙন ও ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানমালের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত মেরামত কাজ তিনটি টিমকে দায়িত্ব দেয়ার হয়েছে।