বুধবার , ২১ আগস্ট ২০২৪ | ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

রামগড়ে ১৪ দিনপর কবর থেকে শিশুর লাশ উত্তোলন

প্রতিবেদক
করিম শাহ, রামগড়, খাগড়াছড়ি
আগস্ট ২১, ২০২৪ ৬:২৯ অপরাহ্ণ

খাগড়াছড়ির রামগড় থানায় করা হত্যা মামলায় উপজেলার ওয়াইফাপাড়া সামাজিক কবরস্থানে দাফনের ১৪দিন পর শিশু ফাহিম হোসেন মজুমদার (১২) এর লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে।

বুধবার (২১ আগষ্ট) দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: আতিকুর রহমানের উপস্থিতিতে রামগড় থানার উপ-পরিদর্শক আজিম হোসেন খান শিশুটির লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্যে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান।

নিহত ফাহিম হোসেন মজুমদার রামগড় উপজেলার ওয়াইফাপাড়া গ্রামের মো: সাইফুল ইসলামের ছেলে।  ফাহিম নতুন বাজার মাদরাসার ৫ম শ্রেনীর ছাত্র ছিল। হত্যাকান্ডের ঘটনা উম্মোচিত হলে নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা একই গ্রামের মুমিনউল্ল্যার ছেলে মো. মাঈন উদ্দিন (১৭), নুরুল আমিনের ছেলে আসাদ উল্ল্যাহ গালিব (১২), শফিকুল ইসলামের ছেলে আজাদ হোসেন উছাইদ (১৬) এবং মীর হোসেনের ছেলে মো. আল ফাহাদ (১৫) কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

এস আই আজিম হোসেন খান বলেন, মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে আদালতের আদেশে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতিকুর রহমান জানান, বাদীর উপস্থিতিতে শিশুটির লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ আবারও দাফন করা হবে।

আটক সহযোগী গালিব জানায়, পূর্বে গালমন্দ ও অসম্মান করায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ৬ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে মাইন উদ্দিন ও সে নিজে শিশু ফাহিমকে কৌশলে বাড়ির নিচে নির্জন ও বনজঙ্গল ঘেরা একটি পুকুরে  নিয়ে যায়। গোসল করার নাম করে তারা তিনই পুকুরে  নামে। এসময় মাইন উদ্দিন ফাহিমকে পানির মধ্যে চেপে ধরে রাখে। এক পর্যায়ে ফাহিম অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা দুজন তাকে টেনে পুকুরপাড়ে উঠায়। পরে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ফাহিমের অচেতন দেহ টেনে হেঁছড়ে পাশের উঁচু  টিলার গভীর জঙ্গলে নিয়ে যায়। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য মাইন উদ্দিন জঙ্গলি লতা দিয়ে গলায় শক্ত করে পেঁচিয়ে রাখে। কিছুক্ষণ পর মৃতদেহ  টেনে-হেঁছড়ে টিলা থেকে নামিয়ে পুণরায় ঐ পুকুরের পাড়ে নিয়ে যায় তারা। শিশু গালিব আরও জানায়, হত্যার খবর জানিয়ে লাশ পুঁতে ফেলার জন্য মাইন উদ্দিন মোবাইল ফোনে কোদাল নিয়ে আসতে বলে বন্ধু উচাইদকে। কিন্তু সে না আসায় পুকুর পাড়ে লাশ রেখে বাড়ি চলে যায় তারা। গালিব জানায়, তারা ফাহিমের গায়ের গেঞ্জি আগুনে পুড়ে তার পায়ের জুতাসহ পুকুরের পাশের টিলার ঢালে গর্ত করে পুঁতে রাখে।

মামলার বাদি সাইফুল ইসলাম বলেন, ৭ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরেও ফাহিম বাড়ি না আসায় তারা সবাই মিলে তাকে খোঁজাখুজি শুরু করেন। তার সন্ধানে মাইকিংও করা হয়। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে জঙ্গলঘেরা পুকুর পাড়ে তার মরদেহ পাওয়া যায়। বুধবার সকালে তার লাশও দাফন করা হয়। পরে  ঐ পুকুর পাড়ে ফাহিমের জুতা ও গায়ের গেঞ্জি খুঁজতে গেলে মাটিতে পুঁতেরাখা অবস্থায় আগুনে পোড়া গেঞ্জি ও জুতা পাওয়া যায়। এতে ফাহিমের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হয় তাদের। গ্রামের লোকজনসহ তারা ফাহিমের খেলার সঙ্গী গালিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যার ঘটনা বলে দেয়। পরে গ্রামবাসিরা মাইন উদ্দিনসহ চারজনকেই আটক করে।

তিনি আরো বলেন, মামলার পর দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আদালতের নির্দেশে আজ ছেলে ফাহিমের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।

 

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত

রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও শ্রমিকদলের মহান মে দিবস পালিত

লংগদুতে পাকুয়াখালী গণহত্যায় শহীদ ৩৫ কাঠুরিয়ার গণকবর পরিস্কার করলো পিসিসিপি

কাপ্তাই ব্যাটালিয়ন (৪১ বিজিবি)’র ব্যবস্থাপনায় বেকার তরুনদের কারিগরী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে জয়ী আবুল কাশেম ভূঁইয়া

কাপ্তাই হ্রদে পর্যটক ও যাত্রীবাহী নৌ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন

রাঙামাটিতে যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

খাগড়াছড়িতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম শীর্ষক কর্মশালা 

কাপ্তাইয়ে গীতি আলেখ্য ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ তুমি এক বাঙালী’

রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির নতুন সাধারণ সম্পাদক হলেন চৌধুরী হারুনুর রশিদ

আগামী ১০মে কাপ্তাই সফরে আসবেন উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: