ওমর ফারুক সুমন, বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি।
শুক্রবার ছুটির দিনে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে নানা বয়সী পর্যটকদের ঢল নেমেছে।
সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত সাজেকের রইলুই ও কংলাক পাহাড়ের চূড়ায় দাড়িয়ে সকালের সূর্য দয় ও বিকেলের সূর্য আস্ত এবং উঁচু উঁচু খাঁচা কাটা পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে সাদা মেঘের মিতালীর মন মাতানো সুন্দর্য্য কেবল সাজেকেই চোখে পরে। আর এসব দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা বয়সী শত শত পর্যটক সাজেকে ভিড় করছেন।
সকাল থেকে শত শত পর্যটক বাহী গাড়ী মোটরসাইকেলের ভীড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে সাজেকের প্রবেশ পথে বাঘাইহাটের নিরাপত্তা বাহিনী।
পর্যটকরা বলছেন সাজেকের সৌন্দর্য দেশের আর কোথাও দেখা যায় না তাই যত কষ্টই হোক একটু সুযোগ হলে তারা সাজেকে ছুটে আসেন।
সাজেকের কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং জুম ঘর কটেজের মালিক জেরী লুসাই বলেন সাজেকে শুক্রবার শনিবার পর্যটকদের খুব চাপ সামলাতে হয় তাদের এই দুই দিন যে পরিমাণ যানবাহন সাজেকে আসে তা সাজেকের ধারন ক্ষমতার ৪ গুন।
সাজেকের জনপ্রিয় রেষ্টুরেন্ট মনটানার মালিক মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন সাপ্তাহিক ছুটির কারণে হাজারো পর্যটক আসেন সাজেকে তারা সর্বচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করেন পর্যটকদের মন জয় করতে আর তাই পর্যটকটা বার বার সাজেক ছুটে আসেন।
ঢাকার সাভার থেকে আসা পর্যটক তানভীর আলম বলেন সাজেকের সবকিছু ভালো তবে হোটেল ও রিসোর্টের ভাড়াটা একটু বেশী কর্তৃপক্ষের এ দিকটা নজড় দেয়া প্রয়োজন।
সাজের হেডম্যান গ্রাম প্রধান লালথাংগা লুসাই বলেন সাজেকে যেকোন ব্যাংকের একটি শাখা চালু খুব জরুরী, প্রতিনিয়ত কোটি টাকার লেনদেন হয়, টাকা পয়সা নিয়ে আমরা একটু ভয়ে থাকি।
সাজেক থানার ওসি নুরুল আলম বলেন সাজেকে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় পুলিশ, সেনাবাহিনী সবসময় তৎপর পর্যটকবাহী যানবাহনের বাড়তি চাপের কারনে ইদানীং ছোট খাটো কিছু দূর্গটনা ঘটেছে আর যাহাতে না ঘটে তার জন্য চালক দের সচেতন ও সতর্ক করা হয়েছে।