আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট ছাপাতে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত কর্ণফুলি পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) হতে চলতি অর্থ বছরে ৯শত ১৫ মেট্রিকটন কাগজের চাহিদাপত্র দিয়েছিলেন বাংলাদেশ স্টেশনারী অফিস (বিএসও)। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১১ কোটি ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭শত ৮১ টাকা। আবার বিএসও হতে নির্বাচন কমিশন এই কাগজ কিনে নিয়ে ব্যালট পেপার ছাপান। চাহিদা পত্রের বিপরীতে ইতিমধ্যে ৫ শত ৩১ মেট্রিকটন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে, এই ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ৩শত ৮৪ মেট্রিকটন কাগজ সরবরাহ করা হবে বলে জানান কেপিএম এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় কেপিএম এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর দপ্তরে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি এই তথ্য নিশ্চিত করে আরোও বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য নির্বাচন কমিশন কেপিএম মিল হতে ব্রাউন, সবুজ ও গোলাপি কালার কাগজের চাহিদাপত্র দিয়েছেন। ডিসেম্বর এর মধ্যে এই কাগজ সরবরাহ এর জন্য বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা সিংহ ভাগ কাগজ সরবরাহ করেছি। আশা করছি ডিসেম্বর এর মধ্যে বাকি কাগজ সরবরাহ করবো।
তবে কাপ্তাই লেকের পানি দ্রুত শুকিয়ে যাওয়ায় কাগজ উৎপাদন নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন। যা লেক থেকে ব্যবহার করা হয়। তিনি জানান, আমাদের তিনটি মেশিন। এখন শুধুমাত্র একটি মেশিন চালু আছে। একটি মেশিনে দিনে ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিক টন কাগজ উৎপাদন হয়।
প্রসঙ্গত: রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত কেপিএম একটি রাষ্ট্রায়িত কাগজ ও মণ্ড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কাগজকলগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা ১৯৫০-এর দশকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি দেশের প্রথম শিল্প সংস্থাগুলির মধ্যে একটি যা কারখানা আইনের আওতায় নিবন্ধিত হয়েছিল, বর্তমানে এটি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি)-এর অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছে।


















